দুইদিন পর চেনা রূপে ফিরেছে দেশের ‘লাইফ লাইন’ হিসেবে পরিচিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। ঈদের ছুটি থাকায় অনেকটা সুনসান নীরব ছিল এই সড়ক। ঈদের দিন সন্ধ্যা থেকে গাড়ি চলাচল কিছুটা শুরু হলেও পরদিন একটু বাড়ে।
Advertisement
ঈদের তৃতীয় দিন বুধবার (২ এপ্রিল) সকাল থেকে পূর্বের চিরচেনা রূপে ফিরেছে ব্যস্ত সড়কটি। সড়কের মিরসরাই উপজেলার ধুমঘাট থেকে সীতাকুন্ড উপজেলার সিটি গেইট পর্যন্ত সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে সড়কে গাড়ির চাপ বাড়লেও কোনো ধরনের যানজট দেখা যায়নি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বুধবার সকাল থেকে অনেক যাত্রী বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে উঠছেন। ছুটে যাচ্ছেন নিজ নিজ গন্তব্যে। দূর পাল্লার বাস, অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচল করা চয়েস, উত্তরা, মিরসরাই এক্সপ্রেস পরিবহনের বাস চলাচল করছে। চলাচল করছে বারইয়ারহাট-সীতাকুন্ড রুটে চলাচল করা লেগুনা ও সেইফ লাইন পরিবহনের সব গাড়ি। ব্যক্তিগত গাড়ির পাশাপাশি বেশি চলাচল করছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা।
লেগুনাচালক জামশেদ আলম বলেন, ঈদের দিন বের হইনি। পরের দিন বেরিয়েছিলাম, মোটামুটি রাস্তায় লোকজন ছিল। তবে আজ সকাল থেকে প্রচুর যাত্রী পেয়েছি। রাস্তায় বড় গাড়ির চাপ বেশি।
Advertisement
মিরসরাই সদরে বাস স্ট্যান্ডে বাসের জন্য অপেক্ষা করা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী আনোয়ার হোসেন তপু বলেন, আজ থেকে আমার অফিস খুলবে। তাই ঈদের ছুটি কাটিয়ে অফিসে যাচ্ছি। এরইমধ্যে কয়েকটি বাস গেছে, যেগুলোতে সিট খালি ছিল না। দেখি এবার সিট খালি না পেলেও দাঁড়িয়ে চলে যেতে হবে।
জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঈদের ছুটির কারণে সড়কে যান চলাচল কম ছিল। আজ থেকে গাড়ি চলাচল বেড়েছে। তবে সড়কে কোনো ধরনের যানজট সৃষ্টি হয়নি। হাইওয়ে পুলিশ সার্বক্ষণিক সড়কে ডিউটি করছে।
এম মাঈন উদ্দিন/এফএ/জেআইএম
Advertisement