ঈদুল ফিতরের একদিনের ছুটি কাটিয়ে আবারও ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ছুটছে ট্রেন। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে শুধু আন্তঃনগর ট্রেনগুলো ছেড়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে এদিন শুরু হয়েছে ঈদের ফিরতি ট্রেনযাত্রাও।
Advertisement
তবে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলোতে যাত্রীদের চাপ নেই। বেশির ভাগ আসন ফাঁকা নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে আন্তঃনগর ট্রেনগুলো। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা ট্রেনগুলোতে কিছুটা ভিড় থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে কর্মকর্তারা।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘ঈদে একদিন ছুটি ছিল। আজ সকাল থেকে আবার ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। রাজশাহীগামী ধুমকেতূ এক্সপ্রেস ভোর ৬টায় ছেড়ে গেছে। সকাল সোয়া ৭টায় এগারো সিন্ধুর প্রভাতী, সাড়ে ৭টায় তিস্তা এক্সপ্রেস, সকাল পৌনে ৮টায় মহানগর প্রভাতীসহ বেশ কয়েকটি ট্রেন কমলাপুর ছেড়েছে।’
আরও পড়ুনঈদ ছুটি কাটিয়ে মেট্রোরেল চলাচল শুরুঈদের ফিরতি যাত্রাও নিরাপদ-স্বস্তিদায়ক হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ঢাকার রাস্তায় গণপরিবহন-যাত্রী কম, বেপরোয়া মোটরসাইকেলতিনি বলেন, ‘ট্রেনগুলোতে যাত্রী খুব কম। চলতি সপ্তাহে ঢাকা থেকে মানুষ কম বাইরের গন্তব্যে যাবে। ভিড় বাড়বে ফিরতি ট্রেনগুলোতে। সেভাবে প্রস্তুতি নিয়ে ঢাকা থেকে সঠিক সময়ে আন্তঃনগর ট্রেনগুলো ছেড়ে যাচ্ছে, যেন দেশের বিভিন্ন স্টেশন থেকে নির্ধারিত সময়ে ট্রেনগুলো আবার ঢাকায় ফিরতে পারে। এটা করতে পারলে ফিরতি যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হবে।’
Advertisement
এদিকে, ঈদের পরদিন কমলাপুর স্টেশন ঘুরে সুনসান পরিবেশ দেখা গেছে। স্টেশনে কাজ করা কুলি ও শ্রমিকরা ছাড়া যাত্রীর দেখা নেই। কালেভদ্রে দু-একজন স্টেশনে প্রবেশ করছেন।
আজ যারা ভ্রমণ করছেন, তাদের বেশির ভাগ আবার আগে টিকিট কাটেননি। ট্রেন ছাড়ার আগমুহূর্তে কাউন্টার থেকে দাঁড়িয়ে টিকিট কিনে নিচ্ছেন। আফজাল হোসেন নামে এক যুবক কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কিনতে দেখা যায়। তিনি বলেন, ‘ঈদ ঢাকাতেই করেছি। ভাবছিলাম আরও পরে বাড়িতে যাবো। হঠাৎ মনে হলো বাড়ি যাবো, ঘুম থেকে উঠে স্টেশনে চলে এলাম।’
কমলাপুর স্টেশনে দীর্ঘদিন কুলির কাজ করেন রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এখন তো কাজ নেই। দুপুরের দিকে ফিরতি ট্রেন স্টেশনে আসবে। তখন ভিড় হতে পারে। দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষায় আছি।’
এএএইচ/ইএ/জেআইএম
Advertisement