ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বসতবাড়ির একটি গভীর নলকূপ থেকে গ্যাস বের হচ্ছে। এ গ্যাস দিয়ে চলছে রান্নাবান্নার কাজ।
Advertisement
উপজেলার পৌর এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ধামদি গ্রামে একরাম হোসেনের বাড়ির নলকূপ থেকে এ গ্যাস বের হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক যুগ আগে এ নলকূপটি স্থাপন করা হয়। সম্প্রতি নলকূপ থেকে বুদ্বুদ ধরনের শব্দ শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু কোনো গুরুত্ব দিচ্ছিলেন না একরাম হোসেনের মা বেগম আক্তার। সম্প্রতি বিষয়টি ছেলেকে জানান তিনি। ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরে একরাম হোসেন কৌতূহলবশত নলকূপের সঙ্গে একটি অতিরিক্ত পাইপ সংযোগ দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। মুহূর্তেই সেখানে আগুন জ্বলে ওঠে।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল জলিল জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রথমে শুনে বিশ্বাস হয়নি। পরে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখি গ্যাসে আগুন জ্বলছে। এই গ্যাস দিয়ে রান্নাবান্নার কাজও চলছে। এই মাটির নিচে নিশ্চয়ই গ্যাসের খনি রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি যথাযথভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে, তবে এটি প্রাকৃতিক গ্যাসের নতুন উৎস হিসেবে সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।’
Advertisement
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেগম আক্তার বলেন, ‘নলকূপে বুদ্বুদ ধরনের শব্দ শোনা যাচ্ছিল। পরে আমার ছেলেকে বিষয়টি জানালে সে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় আগুন জ্বলে ওঠে। এই গ্যাস দিয়ে রান্নাবান্না করছি। বাড়ির অন্য নারীরাও এসে খাবার রান্না করছে।’
বেগম আক্তারের ছেলে একরাম হোসেন বলেন, ‘পাইপ থেকে বুদ্বুদ ধরনের শব্দ শুনে গ্যাস থাকতে পারে বলে ধারণা করেছিলাম। পরীক্ষা করার পর দেখি, আগুন ধরে যাচ্ছে। এটি আমাদের জন্য আনন্দের বিষয়। গ্রামে বসবাস করেও গ্যাস ব্যবহার করে রান্না করতে পারায় আমার মাসহ বাড়ির অন্য নারীরাও খুশি।’
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এরশাদুল আহমেদ বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে তিতাস গ্যাসের ময়মনসিংহের ম্যানেজার (অপারেশন) হিলটন পাল বলেন, বিষয়টি এখনো আমাদের নজরে আসেনি। তবে ওই গ্রামে গিয়ে বিষয়টি দেখা হবে। এরপর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Advertisement
কামরুজ্জামান মিন্টু/এসআর/এমএস