দেশজুড়ে

উত্তরের মহাসড়ক ফাঁকা

উত্তরের মহাসড়ক ফাঁকা

রাত পোহালেই ঈদুল ফিতর। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজট, ধীরগতি এবং যানবাহনের চাপের পর এখন ফাঁকা। রোববার (৩০ মার্চ) বিকেল থেকে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল কমে গেছে।

Advertisement

এর আগে যমুনা সেতুর ওপর দুর্ঘটনা, গাড়ি বিকল ও অতিরিক্ত যানবাহনের চাপের কারণে মহাসড়কের টাঙ্গাইল অংশে ১৩ কিলোমিটার থেমে থেমে যানজট ও ধীরগতির সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার দিনগত রাত ৩টা থেকে রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতুপুর্ব পর্যন্ত ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করে। পরে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হলেও বিকেল পর্যন্ত উত্তরের পথে ব্যাপক চাপ থাকে।

এদিকে শেষ মুহূর্তে ভোগান্তি ছাড়া গন্তব্য পৌঁছাতে পারছে যাত্রীরা। তবে যাত্রীবাহী বাস না পেয়ে ট্রাক-পিকআপ ও বাসের ছাদে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরতে পেরেও খুশি যাত্রীরা। রোববার দুপুর থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল যমুনা সেতু মহাসড়কে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

এদিকে ঈদ যাত্রায় ছয়দিনে যমুনা সেতু দিয়ে দুই লাখ ১৬ হাজার ১৩৬ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ সময়ে টোল আদায় হয়েছে ১৬ কোটি ৮৮ লাখ ৫৩ হাজার। এদিকে গত ২৮ মার্চ একদিনে সেতু দিয়ে ৪৮ হাজার ৩৩৫ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে।

Advertisement

রোজিনা বেগম নামের এক গার্মেন্টস কর্মী বলেন, ট্রাকে যাচ্ছি বাড়িতে। বাড়ির কথা শুনলে মনের মধ্যে শান্তি চলে আসে। ছেলে থাকে দাদা-দাদির সঙ্গে। মা আসবে শুনে পাগল হয়ে আছে।যারা দূরে থাকে তারা বুঝে পরিবারকে কতটা ভালোবাসে। এ রোদের মধ্যে যাচ্ছি পরিবারকে কাছে পাবো, এটাই শান্তি।

ট্রাকের যাত্রী ইকবাল হাসান বলেন, প্রচণ্ড রোদ মাথায় নিয়ে রংপুর যাচ্ছি। প্রায় ৬ মাস পর বাড়ি যাচ্ছি। ট্রাকে এতো কষ্ট করে যাচ্ছি। নিজের কাছে কষ্ট মনে হচ্ছে না। ঈদের আনন্দ পরিবারের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারব এরচেয়ে শান্তির কী হতে পারে। এ বছর ভোগান্তি ছাড়ায় মানুষ তার গন্তব্য পৌঁছাতে পারছে।

এ ব্যাপারে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মুহাম্মদ শরীফ বলেন, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়কে পর্যাপ্ত পরিমাণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করেছে। ঈদে ঘরমুখো মানুষ স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে। স্বস্তিতে ঘরে ফিরতে পেরে খুশি যাত্রীরা।

আব্দুল্লাহ আল নোমান/আরএইচ/এমএস

Advertisement