অর্থনীতি

মসলার বাজারও স্থিতিশীল

মসলার বাজারও স্থিতিশীল

দেশের আকাশে রোববার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আর কয়েক ঘণ্টা পর পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। এখন চলছে ঈদ উদযাপনের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। দেশে প্রতিবছর ঈদকে কেন্দ্র করে বাজারে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রীর দাম বাড়লেও এবার ঢালাওভাবে সে রকম কিছু ঘটেনি। স্থিতিশীল রয়েছে মসলার বাজারও।

Advertisement

রোববার (৩০ মার্চ) দুপুরে সরেজমিনে রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজার পরিদর্শন করে এমন চিত্র দেখা যায়। এ বাজারের দশটি দোকান ঘুরে প্রায় একই চিত্র দেখা যায়।

বিক্রেতারা বলছেন, অধিকাংশ পণ্যের দামই রোজার আগের অবস্থায় স্থিতিশীল রয়েছে। তেমনি অনেক ক্রেতার মুখেও কিছুটা স্বস্তির ছাপ লক্ষ্য করা যায়। তাদের মতে, অনেক পণ্যের দামই কিছুটা আগের মতো আছে।

ঈদকে কেন্দ্র করে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ব্রয়লার, সোনালি ও দেশি মুরগির দাম কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে এবার মসলার বাজারে ঘুরে দেখা গেছে- দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, ধনিয়া গুঁড়া, কালো গোলমরিচ, সাদা গোলমরিচ, মৌরি, মেথি, জয়ফল, জয়ত্রী, কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, পেস্তাবাদাম, কিসমিস, চিনাবাদাম, আলু বোখারা, কালজিরাসহ সব মসলার দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

Advertisement

দোকান ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ছোট রসুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা, বড় রসুন ২০০ থেকে ২৪০ টাকা, আদা ১১০ থেকে ১৪০ টাকা, পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধনেগুঁড়া ২৪০ টাকা, মরিচগুঁড়া ৪০০ টাকা, হলুদগুঁড়া ৩২০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা, এলাচ ৫০০০ টাকা, দারচিনি ৫৫০-৬০০ টাকা, লবঙ্গ ১৩৫০-১৪০০ টাকা, জিরা ৬০০ টাকা, কিসমিস ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

চাঁদপুর নিবাসী ব্যবসায়ী আজিম হোসেন গত ৩৬ থেকে ৩৭ বছর ধরে কারওয়ান বাজারে মসলার ব্যবসা করেন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, কখনো মসলার দাম বাড়া ছাড়া কমতে দেখিনি। এবার কিছু মসলার দাম কমছে, কিছু আগের দামে অব্যাহত আছে।

বাবুল নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, পতিত সরকারের আমলে জিরার কেজি ছিল ১২০০ টাকা, যা এখন অর্ধেক মানে ৬০০ টাকা। গত ছয়মাসে কাজুবাদামের দাম কেজি প্রতি ৬০০ টাকা কমেছে, আর কাঠবাদামের দাম কমেছে ৫০০ টাকা।

বাজার করতে আসা সেলিম নামের একজন ক্রেতা জানান, এবারের ঈদ সত্যিই আলাদা। প্রতিবার যেমন সিন্ডিকেট করে ব্যবসায়ীরা সব কিছুর দাম বাড়িয়ে দিত এবার সেটা পারেনি। তাই নিত্যপণ্যের মতো মসলার বাজারও স্থিতিশীল রয়েছে।

Advertisement

বাংলাদেশ কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি ইমরান মাস্টার বলেন, পণ্যের সরবরাহের ওপর মূলত দাম নির্ভর করে। আগামীকাল যেহেতু ঈদ সেহেতু চাহিদা বেশি হওয়ায় কিছু পণ্যের দাম সামান্য বাড়তে পারে। তবে সার্বিকভাবে আল্লাহর রহমতে সয়াবিন তেল বাদে সব নিত্যপণ্যের দাম এবার স্থিতিশীল রয়েছে।

এসআরএস/এমএএইচ/