দেশজুড়ে

ময়মনসিংহে ৪০ টাকার বাস ভাড়া ২০০ টাকা

ময়মনসিংহে ৪০ টাকার বাস ভাড়া ২০০ টাকা

ঈদকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহে বাসচালকরা নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছেন। যাত্রীদের কাছ থেকে ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করছেন তারা। এতে ক্ষুব্ধ হচ্ছেন যাত্রীরা। তবুও বাধ্য হয়ে চালকদের নির্ধারিত ভাড়াতে গন্তব্যে যাচ্ছেন তারা।

Advertisement

শনিবার (২৯ মার্চ) বিকেলে নগরীর পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ে (বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু) গিয়ে দেখা যায়, এ মোড়ের পাশে থাকা বাসটার্মিনালের বাসগুলো একে একে বের হয়ে বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বিভিন্ন বাসগুলোও নগরীর এ মূল সড়ক পার হচ্ছে। অনেক বাস একসঙ্গে হওয়ায় জটলা সৃষ্টি হচ্ছে। এগুলো নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ কাজ করছে। কিন্তু তাদের সামনে বাসভাড়া চারগুণ বেশি নেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হচ্ছে। তবুও ভাড়া কমাচ্ছে না চালকরা।

পাটগুদাম ব্রিজ মোড় থেকে জেলার ফুলপুর যাবেন শামীম আহমেদ। ইমাম পরিবহনে এ রুটের ফুলপুর (ঢাকা-হালুয়াঘাট-ঢাকা, ভায়া ময়মনসিংহ) যাওয়ার জন্য হেলপারকে ভাড়া জিগ্যেস করেন। হেলপার ২০০ টাকা ভাড়া চাইলে দরকষাকষি শুরু হয়। এর কম ভাড়ায় যাত্রী নেওয়া হবে না জানানোর একপর্যায়ে হেলপার ও যাত্রীর সঙ্গে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা।

এসময় যাত্রী শামিম আহমেদ বলেন, বাস ভাড়ায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হয়েছে। আমার বাসা ফুলপুর। অন্যান্য দিন ময়মনসিংহ ব্রিজ মোড় থেকে ফুলপুর যেতে ৪০-৫০ টাকা ভাড়া দিতে হয়। আজকে ভাড়া নিচ্ছে ২০০ টাকা।

Advertisement

শেরপুরগামী একটি বাসের যাত্রী হাফিজা খাতুন। তিনি বলেন, হালুয়াঘাট হয়ে শেরপুর যেতে হয়। আমার বাসা হালুয়াঘাট পৌর শহরে। সারাবছর পাটগুদাম বাসটার্মিনাল থেকে হালুয়াঘাট যেতে ১২০ টাকা ভাড়া দিতে হয়। ঈদকে কেন্দ্র করে চালকরা ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন। আমি ৩০০ টাকায় হালুয়াঘাট যেতে গাড়িতে উঠেছি।

বক্তব্য জানতে চাইলে ময়মনসিংহ জিলা মটর মালিক সমিতির সভাপতি আলমগীর মাহমুদ আলম বলেন, আমরা চালকদের স্পষ্ট বলে দিয়েছি, ঈদ উপলক্ষে কোনো চালক বাড়তি ভাড়া আদায় করতে পারবে না। কোনো যাত্রীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায়ও জড়ানো যাবে না। তবুও বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে কিনা আমার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে বাড়তি ভাড়া আদায় করা চালকদের জবাবদিহির আওতায় আনাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক (প্রশাসন) আবু নাছের মো. জহির বলেন, ট্রাফিক পুলিশ সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ব্যস্ত রয়েছে। অসাধু চালকরা যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে কিনা আমার জানা নেই। বিষয়টি জানতে চেষ্টা করছি।

কামরুজ্জামান মিন্টু/আরএইচ/জেআইএম

Advertisement