রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়ায় ঈদে ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহনের চাপ থাকলেও নেই ভোগান্তি। তবে প্রতিটি যানবাহনে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
Advertisement
এদিকে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ঘাট এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হলেও ফেরিঘাটের পল্টুন ও সংযোগ সড়কের মুখে যত্রতত্রভাবে পার্কিং করা অটোরিকশার কারণে ব্যাহত হচ্ছে যাত্রী ও যানবাহন চলাচল। এছাড়া ঘাট এলাকাসহ মহাসড়কে বেড়েছে তিন চাকার অবৈধ মাহেন্দ্রা-অটোরিকশার দৌরাত্ম্য।
শনিবার (২৯ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দৌলতদিয়া ফেরিঘাট ও বাস টার্মিনাল এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
অপরদিকে ফেরিতে পারাপার হওয়া যানবাহনের মধ্যে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল ছিল চোখে পড়ার মতো।
Advertisement
জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজধানী ঢাকা ছেড়ে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথ ব্যবহার করে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে বাড়িতে আসছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ফলে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে যাত্রী ও যানবাহনের বাড়তি চাপ থাকলেও দৌলতদিয়া ঘাটে নেই কোনো ভোগান্তি।
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চ ও ফেরির যাত্রীরা নেমে অটোরিকশা, মাহেন্দ্রা, যাত্রীবাহী বাসসহ বিভিন্ন বাহনে রাজবাড়ী, ফরিদপুর, কুষ্টিয়াসহ গন্তব্যে যাচ্ছেন। এসময় দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া সব ধরনের যানবাহনে যাত্রীদের থেকে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএ দৌলতদিয়া ঘাট সূত্রে জানা গেছে, ঈদে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার নির্বিঘ্ন করতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ছোট বড় ১৭টি ফেরি ও ২২টি লঞ্চ চলাচল করছে।
যাত্রীরা বলেন, এবার পথে তেমন কোনো ভোগান্তি নেই। তবে ভাড়া বেশি নিচ্ছে। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে এটি মেনে নিয়েই চলছি।
Advertisement
যাত্রীবাহী বাস চালকরা বলেন, মহাসড়কে তিন চাকার গাড়ির কারণে চলাচল কষ্টকর হয়ে পড়েছে। কোনো নিয়মনীতি না মেনে যেখান সেখানে ব্রেক করাসহ যাত্রী ওঠা-নামা করায়। এতে বড় যানবাহন চলাচলে সমস্যা হয়। ঈদের এ সময়ে এদের দৌরাত্ম্য আরও বেড়ে যায়।
রুবেলুর রহমান/এফএ/এএসএম