জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ সীমান্তে ভারতীয় ও পাকিস্তানি সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটনা ঘটেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবি, মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) নিয়ন্ত্রণ রেখা বা লাইন অব কন্ট্রোল (এলওসি) লঙ্ঘন করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী হামলা চালালে তারা সংযত পালটা জবাব দেয়।
Advertisement
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন বলছে, মঙ্গলবার কৃষ্ণা ঘাঁটি সেক্টরে পাকিস্তানের অনুপ্রবেশের ফলে একটি মাইন বিস্ফোরিত হয়। এরপর পাকিস্তান সেনাবাহিনী বিনা উসকানিতে গুলি চালায় ও যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পাকিস্তানের হামলার পর এই ঘটনার পরপরই সংযত ও পরিকল্পিতভাবে পাল্টা জবাব দেয়। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ও সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
এদিকে, এই ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে নিশ্চিত করেছে ভারত। তবে, ভারতীয় সেনাবাহিনী উভয় দেশের সামরিক পরিচালকদের মধ্যে থাকা সমঝোতা ও চুক্তিগুলোর প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে নিয়ন্ত্রণ রেখায় শান্তি বজায় থাকে।
Advertisement
২০২১ সালে ভারত ও পাকিস্তানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা আলোচনার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ রেখায় সংঘাত কমানোর বিষয়ে একমত হয়েছিলেন। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে উভয় পক্ষই বিদ্যমান চুক্তি, বোঝাপড়া ও যুদ্ধবিরতি মেনে চলবে।
কিন্তু পাকিস্তানের এই সাম্প্রতিক হামলা যুদ্ধবিরতির সেই চুক্তিকে গুরুতরভাবে লঙ্ঘন করেছে। ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের অনুপ্রবেশ ও হামলা শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতিকে নষ্ট করতে পারে ও সীমান্ত উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারত এখন সীমান্ত নিরাপত্তা আরও জোরদার করবে ও ভবিষ্যতে এমন যে কোনো লঙ্ঘনের কঠোর জবাব দেবে। দেশটির সাবেক এক সেনা কর্মকর্তা বলেন, নিয়ন্ত্রণ রেখায় শান্তি বজায় রাখা ভারতের অগ্রাধিকার হলেও, যদি পাকিস্তান উসকানি দিয়ে যায়, ভারতীয় সেনাবাহিনী উপযুক্ত জবাব দিতে প্রস্তুত।
সূত্র: এনডিটিভি
Advertisement
এসএএইচ