শেষ মুহূর্তে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন মানুষ৷ এর ফলে ঈদযাত্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। তবে মহাসড়কে কোথাও যানজটের সৃষ্টি হয়নি। এতে ঘরমুখো মানুষ বাড়ি ফিরছেন স্বস্তিতে। তবে গণপরিবহন সংকট ও যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করেছেন অনেক যাত্রী।
Advertisement
জানা গেছে, এ মহাসড়কের টাঙ্গাইল অংশের ৬৫ কিলোমিটারে যানজট নিরসনে পুলিশের প্রায় সাড়ে সাতশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। পুলিশের পাশাপাশি মাঠে আছে সেনাবাহিনী ও র্যাব। তবে ট্রাক, পিকআপভ্যান, মোটরসাইকেল ও মুরগির খাঁচার উপর বসে দুর্ঘটনার ঝুঁকি ও ভোগান্তি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন অনেকে। পুরুষের পাশাপাশি নারী ও শিশুদেরকেও ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি যেতে দেখা গেছে।
শনিবার (২৯ মার্চ) মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, মহাসড়কে যানবাহনের চাপ দেখা গেছে৷ গণপরিবহনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন অনেকে। মহাসড়কে ট্রাফিক পুলিশ, থানা পুলিশ, জেলা পুলিশ এবং হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা কাজ করছেন।
যাত্রীরা বলেন, মহাসড়কে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করছি। কিন্তু যাত্রীবাহী বাস পাচ্ছি না। আবার অনেকেই অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন৷ বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বাড়িতে যাচ্ছি।
Advertisement
যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ হাজার ৩৩৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ৩০ হাজার ৩৯৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে এক কোটি ৯০ লাখ ৯৮ হাজার ৫৫০টাকা। অপরদিকে ঢাকাগামী ১৭ হাজার ৯৩৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর বিপরীত টোল আদায় হয়েছে এক কোটি ৪৭ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫০টাকা।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা বাস কোচ মিনিবাস মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি খন্দকার ইকবাল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, বিভিন্ন কারণে মহাসড়কে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। যানজট নিরসনে এই সড়কে আমাদের প্রায় ৭০ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন।
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, মহাসড়কে গাড়ির অতিরিক্ত চাপ থাকলেও এখন পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়নি। যানজট নিরসনে পুলিশ সদস্যরা ২৪ ঘণ্টা কাজ করছেন৷
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সড়ক পথে উত্তরবঙ্গের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম এ মহাসড়ক। এ সড়ক দিয়ে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ২৪টি জেলার যানবাহন চলাচল করে। প্রতি বছর ঈদকে সামনে রেখে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি বের করে। এসব গাড়ি হঠাৎ মহাসড়কে বিকল হয়ে যায়। অপরদিকে এলেঙ্গার পর থেকে সেতু পর্যন্ত সিঙ্গেল লেনে চলাচল করতো। এতে অতিরিক্ত চাপে মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হতো। তবে এবার ঈদযাত্রায় এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত উত্তরবঙ্গগামী লেন খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে এই অংশটুকু চার লেনের সুবিধা পাচ্ছে। এতে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে না।
Advertisement
আব্দুল্লাহ আল নোমান/এমএন/এমএস