দেশজুড়ে

শেষ সময়ে জমজমাট ভোলার ঈদবাজার

শেষ সময়ে জমজমাট ভোলার ঈদবাজার

দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল ফিতর। তাই ঈদের নতুন পোশাক কিনতে ভোলার মার্কেট ও দোকানগুলোতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। শেষ সময়ে জমজমাট হয়ে উঠেছে জেলার শপিংমলগুলো। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পোশাকের দোকানে উপচে পড়া ভিড় থাকছে ক্রেতাদের।

Advertisement

ভোলার শহরের কে-জাহান, জাহাঙ্গীর প্লাজা, চকবাজার ও জিয়া সুপার মাকের্ট ঘুরে দেখা গেছে, সকাল ১০টা থেকেই থেকে মার্কেটগুলোর পোশাকের দোকানে সব বয়সী নারী-পুরুষ ও শিশুদের ভিড় রয়েছে। পছন্দমতো পোশাক কিনতে ক্রেতারা এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ছুটছেন।

দোকানিদের সঙ্গে কথা বল জানা গেছে, এবার ঈদে শিশু, তরুণী, নারী ও পুরুষদের জন্য নানান রকমের বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক এসেছে। ক্রেতারাও ঝুঁকেছেন নতুন ডিজাইনের পোশাকে।

কে-জাহান মার্কেটে পোশাক কিনতে আসা রুবি আক্তার ও সামিয়া বেগম জানান, ঈদের উপলক্ষে নিজেদের জন্য নতুন ডিজাইনের থ্রি-পিস কিনেছি। এখন বাচ্চাদের জন্য নতুন ডিজাইনের চায়না পার্টি ড্রেস ও ইন্ডিয়ান ফ্রক কিনেছি। এ বছরের নতুন ডিজাইনের পোশাক কিনেছি। দোকানিরা পুরোনো ডিজাইন দেখালেও আমরা সেগুলো নিচ্ছি না।

Advertisement

জিয়া মার্কেটে কথা হয় জেরিন আক্তার ও রিয়া মনি নামে দুই তরুণীর সঙ্গে। তারা জানান, তারা জিয়া মার্কেটের বেশ কয়েকটি দোকান ঘুরে পৃথক পৃথকভাবে দুইটি করে হোয়াট গোল্ড, সাদা বাহার পোশাক কিনেছেন। এগুলো এ বছরের নতুন ডিজাইনের। তবে দোকানিরা পোশাকের দাম বেশি নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তারা।

চক বাজারের ক্রেতা সীমা বেগম ও কে-জাহান মার্কেটে ক্রেতা স্বপ্না আক্তার এবং কহিনুর বেগম জানান, তারা তিনদিন আগে স্বামী, সন্তান, শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদ, দেবর ও নিজেদের বাবা-মা, ভাই বোনের জন্য ঈদের পোশাক কেনাকাটা করেছেন। এবার নিজেদের জন্য শাড়ি কিনতে মার্কেটে এসেছেন। নতুন ডিজাইনের জামদানি শাড়ি কিনেছেন। কিন্তু দোকানিরা সকল পোশাকে দাম আগের বছরের চেয়ে বাড়িয়ে বিক্রি করছেন বলে জানান তারা।

জাহাঙ্গীর প্লাজায় ক্রেতা মো. হারুন, সুমন ও তালুকদার ভবনের ক্রেতা মো. সিদ্দিকুল রহমান এবং বেলাল হোসেন জানান, তারা নতুন ডিজাইনের পাঞ্জাবী কিনেছেন। এছাড়াও শার্ট, প্যান্ট ও গেঞ্জিও কিনেছেন। পরিবারের সবার জন্য ঈদের নতুন পোশাক কিনেছেন। এবারের ঈদের পোশাকের ডিজাইন খুবই সুন্দর বলে অভিমত তাদের।

জাহাঙ্গীর প্লাজার ব্যবসায়ী মো. ফয়সাল আহমেদ ও কে-জাহান মার্কেটের ব্যবসায়ী মো. ফিরোজ জানান, ১০ রমজানের পর থেকে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। গত ৩-৪ দিন অনেক বেশি বিক্রি হচ্ছে। এবার ঈদে শিশুদের সারারা, গারারা, আলিয়া কাট, ইন্ডিয়ান কামিজ, চায়না পার্টি ড্রেস বেশি বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা দাম বেশির অভিযোগ করলেও তাদের দাবি আগের মতো দামেই পোশাক বিক্রি করছেন তারা।

Advertisement

জিয়া সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী মো. রাজিব মিয়া জানান, এবার ঈদের মেয়েদের হোয়াইট গোল্ড, সাদা বাহার বেশি চলছে। সব ক্রেতারাই এসে এসব পোশাক খোঁজ করেন, তাই আমরাও বেশি পরিমাণ ওই পোশাক এনেছি।

কে-জাহান মার্কেটের ব্যবসায়ী মো. মোজাম্মেল হক জানান, এবার ঈদে জামদানি শাড়ির চাহিদা সবচেয়ে বেশি। ক্রেতারা এসেই নতুন ডিজাইনের জামদানি শাড়ি নিচ্ছেন। এছাড়াও কিছুটা সুতির শাড়িও বিক্রি হচ্ছে।

ভোলার পুলিশ সুপার মো. শরীফুল হক জানান, ঈদ উপলক্ষে ভোলার মার্কেট ও দোকানগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তার জন্য তিন স্তরের পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া গোয়েন্দা তৎপরতাও বাড়ানো হয়েছে।

জুয়েল সাহা বিকাশ/এমএন/এমএস