মিয়ানমারে সৃষ্ট ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন ১৬ জন এবং ১০১ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ব্যাংককের উপ-গভর্নর তাভিদা কামোলভেজ জানিয়েছেন, নিখোঁজরা মূলত তিনটি নির্মাণস্থলের কর্মী, যার মধ্যে ধসে পড়া একটি ৩০ তলা সরকারি ভবন রয়েছে।
Advertisement
শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২০ মিনিটে মিয়ানমারের মান্দালয়ে ১০ কিলোমিটার গভীরে আঘাত হানে ভূমিকম্পটি। এর তীব্র প্রভাব অনুভূত হয় প্রতিবেশী থাইল্যান্ড, চীন ও ভিয়েতনামেও।
আরও পড়ুন>>
৯৫ বছরে এমন ভূমিকম্প দেখেনি থাইল্যান্ড ভূমিকম্পের আঘাতে ধসে পড়লো ৩০ তলা ভবন, ভিডিও ভাইরাল ভূমিকম্পে থমকে গেছে ব্যাংককের জীবনযাত্রাথাইল্যান্ডে এ ভূমিকম্পে ব্যাংককসহ ১০টি প্রদেশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে সামুত সাখোন, চিয়াং মাই, চিয়াং রাই, ফ্রায়ে, মায়ে হং সন, লাম্পাং, চাই নাট, লাম্পুন, লোই এবং কামফায়েং পেত প্রদেশ উল্লেখযোগ্য বলে জানিয়েছেন দেশটির দুর্যোগ প্রতিরোধ ও প্রশমন বিভাগের মহাপরিচালক পাসাকর্ন বুনিয়ালাক।
Advertisement
থাইল্যান্ডের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, শনিবার দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় মায়ে হং সন প্রদেশে আরও দুটি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে।
প্রথমটি ছিল ৪ দশমিক ১ মাত্রার, যা রাত ১১টা ২১ মিনিটে পাই জেলায় পাঁচ কিলোমিটার গভীরে আঘাত হানে। দ্বিতীয়টি ছিল ২ মাত্রার, যা ভোর ৩টা ২৪ মিনিটে একই এলাকায় হয়। তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
অব্যাহত থাকতে পারে আফটারশকভূমিকম্প বিশেষজ্ঞদের মতে, মিয়ানমারে শুক্রবারের শক্তিশালী ভূমিকম্পের আফটারশক আরও এক থেকে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত থাইল্যান্ডে অনুভূত হতে পারে।
এশিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির অধ্যাপক এবং থাইল্যান্ডের জাতীয় ভূমিকম্প গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. পেননং ওয়ারনিচাই সতর্ক করেছেন, ভূমিকম্পের প্রভাবে ভবনগুলোতে কোনো ক্ষতি হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করা জরুরি।
Advertisement
তিনি বলেন, ভবনগুলোর কাঠামোগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। যদি কোনো ক্ষতির লক্ষণ দেখা যায়, তবে সেগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী ঘোষণা করা উচিত।
ড. পেননং আরও বলেন, ভূমিকম্পটি মিয়ানমারের সাগাইং ফল্ট লাইনে সংঘটিত হয়েছে, যা ভারত ও সুন্ডা টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত। তবে এটি এমন মাত্রার ছিল যা ভূমিকম্প-সহনশীল ভবনগুলোর জন্য নিরাপদ বলে বিবেচিত হয়।
এ ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ জানান, ঝুঁকি পুরোপুরি শেষ হয়নি, তবে বৈজ্ঞানিক তথ্য বলছে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আফটারশকের মাত্রা কমে আসবে।
সূত্র: ব্যাংকক পোস্টকেএএ/