ঈদের ছুটিতে কার বা বাসে করে ঢাকা থেকে দেশের বাড়ি যাওয়ার সময় ট্র্যাফিক জ্যামে আটকে পড়েনা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। গাড়িতে বসে বসে ক্লান্তি আর বিরক্তি যেন পথযাত্রীদের নিত্যসঙ্গী। বিশেষ করে শিশুদের নিয়ে যাত্রা করলে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। তবে কিছু সৃজনশীল উপায়ে এই সময়টাকে আনন্দময় করে তোলা সম্ভব। জেনে নিন সময় কাটানোর এমন কিছু উপায়-
Advertisement
শব্দ খেলা: শিশুদের সঙ্গে মজার শব্দ খেলা খেলতে পারেন। সন্তানের সঙ্গে কথা বলে সময় কাটালে ট্র্যাফিক জ্যামের স্মৃতিটি তাদের মনে আনন্দময় দিন হিসেবে থেকে যাবে।
গল্পের আসর: পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পুরনো স্মৃতিচারণ করতে পারেন। নিজ নিজ স্মার্টফোনে মুখ লুকিয়ে না রেখে কথা বলুন। জ্যামে আটকা পড়া সময়টি আপনার সম্পর্কগুলোর গভীরতা বাড়ানোর কাজে লাগান।
ছোট কোন বোর্ড গেমস হাতের কাছে রাখতে পারেন। লুডুর মতো খেলাগুলো এখন ফোনের স্ক্রিনেও খেলা যায়। খেলার মধ্যে সময় ভালো কাটবে।
Advertisement
রাস্তায় শোনার জন্য প্লেলিস্ট বানিয়ে রাখুন। রাস্তায় অনেক সময় ইন্টারনেট যোগাযোগ ধীরগতির হয়ে যায়, তাই শিশুদের জন্য অডিও বুক বা গল্প ডাউনলোড করে রাখতে পারেন। একসঙ্গে দেখার মতো সিনেমাও রাখতে পারেন ডিভাইসে। তবে সেক্ষেত্রে ডিভাইসগুলো চার্জ করার ব্যবস্থা আছে কিনা, সেটা খেয়াল করা জরুরি। সঙ্গে পাওয়ার ব্যাঙ্ক রাখুন। এছাড়া সবাই মিলে গানের কলি খেলতে পারেন। পাবলিক যানবাহনে অপরিচিত মানুষের সঙ্গে গানের কলি খেলার স্মৃতি আপনার ভবিষ্যতের মজাদার গল্পের খোরাক হতে পারে।
৩. হালকা খাবার ও পানীয়শুকনো খাবার, চিপস, বিস্কুট, ফলমূল হাতের কাছে রাখুন। পর্যাপ্ত পানি ও জুস রাখুন যেন পানিশূন্যতা না হয়। কিছু ঘরে তৈরি পিঠা বা নাস্তা সঙ্গে নিতে পারেন।
৪. শিক্ষণীয় কিছু কাজনগর জীবনে একটু থেমে চারিদিক তাকানোর সুযোগটাও সময়সময় হয়ে ওঠে না। জ্যামের বিরতিতে শিশুদের চারপাশ পর্যবেক্ষণ করতে শেখান। গাছ, পাখি চেনানোর চেষ্টা করুন। শিশুদের ছবি আঁকা বা ভ্রমণ কাহিনী লিখতে উৎসাহ দিন। নিজেও লেখার চেষ্টা করুন, দারুণ সময় কাটবে।
৫. প্রযুক্তির ব্যবহারঅফলাইন গেমস: মোবাইলে অফলাইন গেমস বা কার্টুন ডাউনলোড করে রাখুন। এতে ইন্টারনেট না পেলেও অস্থির লাগবেনা। পরিবারের সঙ্গে মজার মুহূর্তের ছবি তুলুন। বয়সে একটু বড় শিশুদের গুগল ম্যাপ দেখিয়ে রাস্তা চেনা শেখাতে পারেন।
Advertisement
ঈদযাত্রায় জ্যামে আটকে পড়া ঢাকাবাসীর জীবনের অংশ হয়ে গেছে। তবে এ সময়গুলোকে শুধুমাত্র বিরক্তির উৎস হিসেবে না দেখে পরিবারের সঙ্গে কাটানোর সময় হিসেবে দেখার চেষ্টা করলে বিরক্তি কিছুটা কমতে পারে। তবে যেভাবেই সময় উপভোগ করার চেষ্টা করুন না কেন, মনে রাখবেন, সবকিছুর থেকে গুরুত্বপূর্ণ আপনার ও আপনার পরিবারের নিরাপত্তা।
এএমপি/এমএস