অর্থনীতি

এলডিসি উত্তরণের কর্মকৌশল বাস্তবায়নে কমিটি গঠন

এলডিসি উত্তরণের কর্মকৌশল বাস্তবায়নে কমিটি গঠন

স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের কর্মকৌশল বাস্তবায়ন করতে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে সরকার। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরীকে প্রধান করে ৬ সদস্যের এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

Advertisement

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক মঞ্জুর হোসেন, গবেষণা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেসন ফর ডেভেলপমেন্টের (র‌্যাপিড) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক, বিআইডিএসের অর্থ বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান কাজী ইকবাল এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি অনুবিভাগ) মো. আবদুর রহিম খান।

এছাড়া এলডিসি উত্তরণকে মসৃণ ও টেকসই করার লক্ষ্যে সরকার স্মুথ ট্রানজিশন স্ট্র্যাটেজি (এসটিএস) কর্মকৌশল অনুমোদন ও প্রকাশ করেছে। এই কর্মকৌশল বাস্তবায়নের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দিয়ে সহায়তার জন্য এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান আনিসুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে আগামীকাল বৃহস্পতিবার এই কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণের দিন ঠিক আছে ২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বর। ১৯৭৫ সালে এলডিসি তালিকায় যুক্ত হয় বাংলাদেশ। এলডিসিভুক্ত দেশ হওয়ার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য-সুবিধাসহ নানান সুবিধা পায় বাংলাদেশ। এলডিসি থেকে উত্তরণের পর এই সুবিধা আর থাকবে না।

Advertisement

আরও পড়ুনপ্রবাসী আয়ে নতুন রেকর্ড, ২৪ দিনেই এলো ২৭০ কোটি ডলারবাজেটে তিন ‘পদচিহ্ন’ রেখে যেতে পারে সরকার

এ কারণে ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকরা এলডিসি থেকে উত্তরণের সময়সীমা পিছিয়ে দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। ব্যবসায়ীদের এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার শুরুতে সময়সীমা পিছিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছিল। ১১ মার্চ প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে) আনিসুজ্জামান চৌধুরী সাংবাদিকদের এমন ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন।

তবে ১৩ মার্চ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সময়সীমা না পিছিয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এলডিসি থেকে উত্তরণের সিদ্ধান্ত হয়।

উপদেষ্টা পরিষদের সভা শেষে ওইদিন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত হয়েছে যে ২০২৬ সালেই বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণ হবে। এ জন্য যেসব চ্যালেঞ্জ আসবে তা মোকাবিলায় এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এই উত্তরণে বাংলাদেশের মর্যাদা আরও বাড়বে।

এরপর ১৮ মার্চ সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এলডিসি উত্তরণে ২০২৬ সালেই একটা স্মুথ ট্রানজিশন স্ট্রাটেজি নিয়েছি। স্মুথ মানে ধপ করে নামে না, প্লেন যেমন আস্তে আস্তে নামে। আমরা এটা অলরেডি করছি।

Advertisement

তিনি বলেন, আসলে বাংলাদেশের দিকে অন্যান্য দেশ তাকিয়ে আছে। আমরা জানি বাংলাদেশের পারফরমেন্স অভার অল সন্তোষজনক। ভুলত্রুটি আছে তার মধ্যেও। ইভেন ... বলেছে তোমরা যদি করো অন্য দেশ সাহস পাবে। আর আমাদের গৌরবটা একটু বাড়বে। হয়তো কিছু কিছু প্রিপারেশন লাগবে, আমরা প্রিপারেশনে যাচ্ছি।

এমএএস/কেএসআর/জেআইএম