দেশজুড়ে

ফেসবুকে স্ট্যাস্টাস দেওয়ার পরদিন মিললো তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ

ফেসবুকে স্ট্যাস্টাস দেওয়ার পরদিন মিললো তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ

আইরিন সুলতানা এশা ও শেখ রুবেল একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। মাত্র এক বছর সংসার জীবনে তাদের ভালোবাসার অন্তরালে মান-অভিমান লেগেই থাকতো।

Advertisement

শনিবার (২২ মার্চ) রাতে এশা ফেসবুকে একটি স্ট্যাস্টাস দেন। এতে লেখেন, ‘আমার সবটুকু বিশ্বাস যে ভেঙ্গে দিয়েছে তাকে কৃতজ্ঞতা জানাই’। এরপর রোববার (২৩ মার্চ) সকালে এশার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটেছে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের নতুনহাট গোলচত্বর এলাকায়।

স্থানীয়রা জানান, পাবনার সদর উপজেলার চকছাতিয়ানী গ্রামের আইয়ুব আলীর মেয়ে আইরিন সুলতানা এশা ও নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নারিবাড়ি গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে শেখ রুবেল এক বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে রুবেলের ব্র্যাক ব্যাংকে চাকরির সুবাদে ঈশ্বরদী উপজেলার নতুন হাট গোলচত্বর এলাকার একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। দুদিন আগে সেহরি রান্না নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর থেকে দুজনের কথা চলছিল না। রোববার সকালে রুবেল ঘুম থেকে উঠে দেখেন এশা নেই। পাশের রুমে গিয়ে দেখতে পান গলায় ফাঁস নিয়ে ঝুলছেন এশা। এসময় রুবেলের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে যান। পরে সকাল ৯টায় পুলিশ এসে এশার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

Advertisement

এশার এক আত্মীয় বলেন, আমরা এশার ফেসবুকে দেখতে পেলাম ‘আমার সবটুকু বিশ্বাস যে ভেঙ্গে দিয়েছে তাকে কৃতজ্ঞতা জানাই’ লেখা একটি স্ট্যাটাস। এটি সে শনিবার রাতে দিয়েছিল। এ স্ট্যাটাস এশা কেন দিয়েছিল তা কেউ বুঝতে পারেনি।

নিহতের স্বামী শেখ রুবেলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার বন্ধু রকি সরদার জানান, রান্না নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। এ নিয়ে মান-অভিমানে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে।

ঈশ্বরদী থানার উপ-পরিদর্শক শফিক ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে যতটুকু মনে হয়েছে এটি আত্মহত্যা হতে পারে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যু কীভাবে হয়েছে তা জানা যাবে।

শেখ মহসীন/জেডএইচ/জিকেএস

Advertisement