জাতীয়

সিআইডির সাবেক প্রধান আলী মিয়ার দুর্নীতি অনুসন্ধান শুরু

সিআইডির সাবেক প্রধান আলী মিয়ার দুর্নীতি অনুসন্ধান শুরু

বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাবেক প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়ার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

Advertisement

গত ১৩ মার্চ সিআইডির সাবেক প্রধান ও তার দুর্নীতিতে সহায়তাকারী আরও ৫ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়।

রোববার (২৩ মার্চ) দুদক সূত্রে অনুসন্ধানের বিষয়টি জানা যায়। অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সাজিদ উর রোমানকে।

মোহাম্মদ আলী মিয়া ছাড়া বাকি পুলিশ কর্মকর্তা হলেন- সিআইডির প্রশাসন শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মিনহাজুল ইসলাম, বিশেষ পুলিশ সুপার (ঢাকা মহানগর পশ্চিম) একেএম ইমরান ভূঁইয়া, সাইবার ক্রাইমের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা, পরিদর্শক মানব শাহাজাদা ও পরিদর্শক মনিরুজ্জামান।

Advertisement

আরও পড়ুন সাবেক ডিআইজি মোল্যা নজরুলের ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, শেয়ার অবরুদ্ধ জি এম কাদের ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডার ১৫তম ব্যাচে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে ১৯৯৫ সালের ১৫ নভেম্বর যোগ দেন গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার মোহাম্মদ আলী মিয়া। ২০২২ সালের আগস্টে তিনি সিআইডিপ্রধান হন। গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর ১৩ আগস্ট মোহাম্মদ আলীকে সিআইডি থেকে সরিয়ে পুলিশ সদরদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। এরপর গত ২২ আগস্ট তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।

দুদকের অভিযোগে বলা হয়, সিআইডিতে অন্তত ছয়জনের একটি নিজস্ব সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিলেন মোহাম্মদ আলী মিয়া। এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আইনবহির্ভূত কার্যক্রম চলতো। যার মধ্যে রয়েছে মামলা রুজু, অভিযান, তদন্তের সিদ্ধান্ত থেকে নিষ্পত্তি পর্যন্ত সবকিছুই রেখেছিলেন নিজের নিয়ন্ত্রণে।

এসব কাজ চালাতে বিভিন্ন ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার ও ডিআইজি পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের ক্ষমতা খর্ব করে রাখারও অভিযোগ রয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়, মোহাম্মদ আলীর বেশকিছু দামি জমির তথ্য পাওয়া গেছে। যার মধ্যে রাজধানীর আফতাবনগর সংলগ্ন আনন্দনগরে ১২ দশমিক ৩৭ শতক জমির একটি প্লট। মিরপুর বাউনিয়া মৌজায় ৪০৭২৩ নম্বর খতিয়ানের ৩০ নম্বর দাগে ৮ দশমিক ২২ শতক জমি, পূর্বাচলে ৫ কাঠা ও কেরানীগঞ্জে ৫ কাঠার প্লট রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, মোহাম্মদ আলী মিয়া মালয়েশিয়া ও লন্ডনে বিপুল পরিমাণ টাকা পাচার করেছেন। লন্ডনে এক বাংলাদেশির রিয়েল এস্টেট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের অংশীদার তিনি।

Advertisement

এসএম/ইএ/জিকেএস