নাটোর জজ কোর্টের পাঁচটি পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ করেছেন পরীক্ষার্থীরা। তারা এই পরীক্ষা বাতিলের দাবিও জানিয়েছেন।
Advertisement
পরীক্ষার্থীরা জানান, শনিবার (২২ মার্চ) নাটোর এন এস সরকারি কলেজে নাটোর জজ কোর্টের শর্ট লিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর একটি, মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর সাতটি ,বেঞ্চ সহকারী/নাজির/ অফিস সহকারী কাম অপারেটর দশটি, জারিকারক ছয়টি এবং অফিস সহায়ক পদে দশজন সহ মোট ৩৪ জনের নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হয়। পরীক্ষা শেষে বাইরে হট্টগোল শুরু হয়।
এসময় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, কতিপয় পরীক্ষার্থী আগে থেকেই উত্তরপত্র লিখে নিয়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করেন এবং তারা উত্তরপত্র দেখে মূল পরীক্ষার খাতায় উত্তর লেখেন। অর্থাৎ প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে আগেই। তারা প্রশ্নপত্র দেখেই উত্তরপত্র লিখে নিয়ে এসে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
লিটন সরকার নামে একজন পরীক্ষার্থী অভিযোগ করেন, তারা দেশের নানা প্রান্ত থেকে অর্থ খরচ করে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য এসেছিলেন। কিন্তু প্রশ্নপত্র ফাঁসের জন্য তাদের পরীক্ষা কোনো কাজে আসবে না।
Advertisement
শর্ট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর পদের পরীক্ষার্থী মো. তারেকুজ্জামান বলেন, উত্তরপত্র লেখার বিষয়টি জানার পর প্রতিবাদ করায় মাত্র একজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু কতজন এ ধরনের উত্তরপত্র নিয়ে পরীক্ষার হলে এসেছিলেন তা তাদের জানা নেই। তাই তারা মনে করছেন এই পরীক্ষা সুষ্ঠু হয়নি। এই পরীক্ষা বাতিল করা উচিত।
এ বিষয়ে নাটোর এন এএস সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ আব্দুল বারী মির্জা বলেন, তাদের ওপর দায়িত্ব ছিল কেউ যেন কোনো প্রকার ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে না পারেন বা অন্য কোনো প্রকার অসদুপায় অবলম্বন করতে না পারেন সে বিষয়টি খেয়াল রাখার। বাকি ব্যবস্থাপনা করেছেন জজ কোর্টের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
নাটোর এন এস কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. নাসির উদ্দিন বলেন, আমাদের ওপর দায়িত্ব ছিল সিট প্ল্যান বসানো এবং পরীক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া, আমরা সেটি করেছি। জজ কোর্টের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সিলগালা করা খাতা নিয়ে এসে বিতরণ করে তারাই গ্রহণ করেছেন। আমরা শুধু পর্যবেক্ষণ করেছি মাত্র।
রেজাউল করিম রেজা/এফএ/এএসএম
Advertisement