অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারের জন্য গত বছর ২৯ আগস্ট ৫ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেছিল যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। কমিটি গঠনের শুরুতেই বিতর্ক তৈরি হলে গত ১ অক্টোবর পুনর্গঠন করা হয় সার্চ কমিটি।
Advertisement
দুই মাসের মধ্যে ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারের প্রয়োজনীয় প্রস্তাব সরকারের কাছে দেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও কেটে গেছে প্রায় ৭ মাস। এই সময়ের মধ্যে সার্চ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে তিন দফায় ২১ কমিটিতে নতুন অ্যাডহক কমিটি গঠন করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
দেশে ক্রীড়া ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশন ৫৫টি। ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচন হয়েছে গত বছর ২৬ অক্টোবর। ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতিসহ কয়েকজন পরিচালক পরিবর্তন হয়েছে। এখনও ৩২টি ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনে সংস্কারের ছোঁয়া লাগেনি।
যেগুলোতে নতুন কমিটি দেওয়া হয়েছে তা নিয়েও নানা অভিযোগ আছে। পতিত আওয়ামী লীগের অনেক দোসরকে জায়গা করে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনে। কোথাও কোথাও বিতর্কিত লোকদেরও গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়েছে।
Advertisement
সার্চ কমিটির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ ছিল এই কমিটি ‘ধীরে চলো’ নীতি অনুসরণ করে সময়ক্ষেপন করেছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তর লেখালেখি হলেও তাতে কর্ণপাত করেনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
অবশেষে দেশের ক্রীড়ার অভিভাবক যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় নড়েচড়ে বসেছে। ক্রীড়াঙ্গন সংস্কার ধীরে হওয়ায় অনেক ফেডারেশন তাদের কার্যক্রম পরিকল্পনা অনুসারে করতে পারছে না।
চলতি অর্থ বছর শেষ হতে বাকি মাত্র ৩ মাস। সরকারের বরাদ্দকৃত অর্থ এ সময়ের মধ্যে শেষ করতে না পারলে আগামী অর্থ বছরে চাহিদামতো অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ার শঙ্কা তৈরি হবে। যে কারণে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় চাইছে আগামী এক মাসের মধ্যে ক্রীড়াঙ্গনের সব সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন হোক।
সে কারণে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ কাবিরুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত এক চিঠি দেওয়া হয়েছে সার্চ কমিটির প্রধান মো. জোবায়েদুর রহমান রানাকে। যে চিঠিতে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে এক মাস। আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে বাকি ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনের অ্যাডহক কমিটি গঠনের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মন্ত্রণালয়ের ওই চিঠিতে।
Advertisement
আরআই/এমএইচ/