যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজায় ভয়াবহ প্রাণঘাতী হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। গত মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) এই হামলা শুরু হয়। এতে এখন পর্যন্ত ৫০৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে ২০০ শিশু রয়েছে। তাছাড়া হামলায় মোট আহতের সংখ্যা নয় শতাধিক।
Advertisement
এমন পরিস্থিতিতে উত্তর গাজা থেকে ফের সরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
গাজাযুদ্ধে এখন পর্যন্ত মোট ৪৯ হাজার ৬১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক লাখ ১২ হাজার ৯৫০ জন।
যদিও গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ জনের বেশি। কারণ ধ্বংস্তূপের নিচে চাপা পড়া বহু ফিলিস্তিনি এখনো নিখোঁজ। আশঙ্কা করা হচ্ছে, তারাও নিহত হয়েছেন।
Advertisement
আরও পড়ুন>
গাজায় এমন হামলা হবে, যা কেউ কখনো দেখেনি: ইসরায়েল ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলাএদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ফের স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তেল আবিব বলেছে, ফিলিস্তিনিদের জন্য এটি ‘শেষ সতর্কবার্তা’, যাতে তারা জিম্মিদের ফেরত দেয় এবং হামাসকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়।
বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশ ও সংগঠন গাজায় যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার আহ্বান জানালেও তা উপেক্ষা করেই হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ফলে ফিলিস্তিনিরা আবারও ধ্বংসস্তূপের মধ্যে প্রিয়জনের মরদেহ খুঁজতে বাধ্য হচ্ছেন।
ইসরায়েল যেসব এলাকাকে ‘যুদ্ধ এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করেছে, সেখান থেকে সাধারণ মানুষ পালিয়ে যাচ্ছে। উত্তর গাজা থেকে পালানো অনেক পরিবারকে শিশুসহ রাস্তায় আশ্রয় নিতে দেখা গেছে।
Advertisement
গাজার বাসিন্দাদের উদ্দেশে এক ভিডিও বার্তায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেন, এটি শেষ সতর্কবার্তা। মার্কিন প্রেসিডেন্টের পরামর্শ গ্রহণ করুন। জিম্মিদের ফিরিয়ে দেন এবং হামাসকে সরিয়ে দেন। তাহলে আপনাদের জন্য অন্যান্য বিকল্প উন্মুক্ত হবে– যার মধ্যে অন্য দেশে চলে যাওয়ার সুযোগও রয়েছে।
সূত্র: আল-জাজিরা
এমএসএম