দেশজুড়ে

রওশন এরশাদের ‘সুন্দর মহল’ হবে রেস্তোরাঁ!

• ‘কুটুমবাড়ি রেস্টুরেন্ট’র চতুর্থ শাখা হবে এটি•  কয়েক মাসের মধ্যে রেস্তোরাঁর কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা • ‘সুন্দর মহল’ বেগম রওশন এরশাদের পৈতৃক বাড়ি

Advertisement

ব্যস্ত সড়কঘেঁষা একটি আলোচিত ভবন। এর অবস্থান ময়মনসিংহ শহরের ফায়ার সার্ভিস রোডে। ভবনটিকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। কারণ, দেশের রাজনৈতিক ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অন্যতম সাক্ষী ভবনটি। নাম তার ‘সুন্দর মহল’।

ভবনটি নগরীর ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত সুতিয়াখালি গ্রামের কন্যা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্ত্রী বেগম রওশনের। একসময় সুন্দর মহলের সঙ্গে ছিল জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক কার্যালয়। বর্তমানে কার্যালয়টির অস্তিত্ব নেই।

সরেজমিনে দেখা যায়, সুন্দর মহলে জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক কার্যালয় ও কেয়ারটেকার থাকার বাসা ভাঙা। ইটগুলো কোথাও এলোমেলো আবার কোথাও সমানভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। দেওয়াল ভাঙার ইটগুলোর পলেস্তারা খুলে পরিষ্কার করা হয়েছে। সুন্দর মহল লেখাটি এখনো জ্বলজ্বলে থাকলেও সঙ্গে ‘দালাল মহল’ লিখে সাইনবোর্ড টানিয়ে রেখেছে ছাত্র-জনতা। ভবনটি ভাঙচুরও করা হয়েছে।

Advertisement

ভবনজুড়ে দেওয়ালে দেওয়ালে কালিতে লেখা রয়েছে ‘দালাল মহল’। টানানো সাইনবোর্ডে রওশন এরশাদের ছবিতে কালি দিয়ে ক্রস চিহ্ন এঁকে দেওয়া হয়েছে। ভবনের সামনে একপাশে রয়েছে বাঁধানো কবর। কবরের নামফলকে লেখা, বেগম বদরুন্নাহার। মৃত্যু ১৯৯১। স্বামীর নাম খান সাহেব উমেদ আলী।

আরও পড়ুন জাপা হারিয়ে গেলে সহনশীল রাজনীতির ধারা মুছে যাবে: রওশন

দ্বিতল ভবনের সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠে দেখা গেলো চারপাশ পরিষ্কার করা হয়েছে। তবে ছাত্র-জনতার ভাঙচুরের দৃশ্য এখনো রয়ে গেছে। রাজনৈতিক ইতিহাসের সাক্ষী ভবনটিতে শুধুই সুনসান নীরবতা।

সুন্দর মহলের ক্ষতচিহ্ন জাগো নিউজের এ প্রতিবেদককে ঘুরে ঘুরে দেখাচ্ছিলেন কেয়ারটেকার মোখলেছুর রহমান। কথাবার্তার একপর্যায়ে মুখ ফসকে বলে দিলেন ভবনের বর্তমান অবস্থার কথা। তিনি জাগো নিউজকে জানান, এই ভবন থেকে আর জাতীয় পার্টির রাজনীতি পরিচালিত হবে না। এখানে শুধু হবে খানাপিনা। তবে তা বিনামূল্যে নয়। গুনে গুনে টাকা দিয়ে ইচ্ছেমতো যে কেউ খেতে পারবেন। কারণ, এই সুন্দর মহলে তৈরি হচ্ছে রেস্তোরাঁ। এজন্য মালিকপক্ষের পরিকল্পনা মতো ছাত্র-জনতার ভাঙাচোরা শেষে যা অবশিষ্ট ছিল তা পরিষ্কার করা হয়েছে। ভবনের সঙ্গে থাকা ইটের তৈরি জাতীয় পার্টির কার্যালয়সহ পেছনের অংশের একটি ঘরের দেওয়ালগুলো এরইমধ্যে ভেঙে ফেলা হয়েছে। একসময়ের দৃষ্টিনন্দন দোতলা এই বাড়িটির জায়গাজুড়ে হবে রেস্তোরাঁ। যার নাম হবে ‘কুটুমবাড়ি রেস্টুরেন্ট’।

ভবনের কেয়ারটেকার মোখলেছুর রহমান বলেন, “ভবনটি রওশনের ভাইয়ের কাছ থেকে বজলুর রহমান মিন্টু নামের একজন ভাড়া নিয়েছেন। তার ‘কুটুমবাড়ি রেস্টুরেন্ট’ নামের তিনটি রেস্তোরাঁ রয়েছে। একটির অবস্থান ঢাকায়, একটি ময়মনসিংহ সদরের দাপুনিয়ায় ও জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার পৌর শহরে। সুন্দর মহলে এটি তার চতুর্থ শাখা হবে। তাকে ব্যবসায়ী হিসেবেই জানি। রাজনৈতিক কোনো পদবি আছে কি না আমার জানা নেই।”

Advertisement

আরও পড়ুন কাউন্সিল না হলে জাতীয় পার্টি হারিয়ে যেত: রওশন

তিনি আরও বলেন, ‘ভবনের সবকিছু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করিয়েছেন বজলুর রহমান মিন্টু। তিনি প্রায় তিন মাস আগে প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকার মৌখিক চুক্তিতে আমাকে এখানে কেয়ারটেকার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। আমি ভবনটির সবকিছু দেখভাল করছি।’

মোখলেছুর রহমান জানান, দালাল মহলে (সুন্দর মহল) রেস্তোরাঁ হবে জানতে পেরে একদল লোক এসে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ বন্ধসহ রেস্তোরাঁ করতে বজলুর রহমান মিন্টুকে নিষেধ করেন। এসময় মিন্টু তাদের বুঝিয়ে বলেন, অহেতুক ভবনটি পড়ে রয়েছে। এখানে রেস্তোরাঁ করে ব্যবসা করা দোষের কিছু নয়। পরে আর বাধা দেওয়া হয়নি।

ভবনটিতে রেস্তোরাঁ করার বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা তুঙ্গে। রেস্তোরাঁ চালু হওয়ার আগ মুহূর্তে আবারও হামলা কিংবা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার শঙ্কা রয়েছে। ভবনের কেয়ারটেকার মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘জানতে পেরেছি, পরিবেশ সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হলে কয়েক মাসের মধ্যেই সব কাজ সম্পন্ন করে ভবনটি ‘কুটুমবাড়ি রেস্টুরেন্ট’ নামে চালু করা হবে। সুন্দর মহলের পেছনের অংশের কর্নারে একটি তিনতলা ভবন করারও কথা রয়েছে। এটিও একই নামে রেস্তোরাঁ হবে। এরইমধ্যে কর্নারে থাকা দেওয়াল ভেঙে ইটগুলো সরিয়ে ফাঁকা করা হয়েছে। তবে রেস্তোরাঁকে কেন্দ্র করে যদি কোনো প্রভাবশালী লোকজন উত্তপ্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে, তাহলে রেস্তোরাঁ নির্মাণ বন্ধও হতে পারে।

আরও পড়ুন আবারও কেন ভাঙলো জাতীয় পার্টি

এদিকে সুন্দর মহলে রেস্তোরাঁ হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরেছেন স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতারাও। দলটির নেতারা জানান, সুন্দর মহল থেকেই ময়মনসিংহ জাতীয় পার্টির রাজনীতি পরিচালিত হতো। দলের স্বার্থে স্থানীয় শীর্ষ নেতারা এখানেই হুংকার দিতেন। নেতাকর্মীদের করতেন ঐক্যবদ্ধ। বিভিন্ন স্থান থেকে এই সুন্দর মহলে দলে দলে স্লোগান দিয়ে এসে জড়ো হতেন নেতাকর্মীরা। রওশন এরশাদ এসে থাকতেন এই বাড়িতেই। দলকে চাঙা রাখতে দিতেন নানা দিকনির্দেশনা। কিন্তু দেবর-ভাবির (জি এম কাদের-রওশন এরশাদ) দ্বন্দ্বে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেগম রওশন এরশাদ অংশ নেননি। ফলে নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে যান। নেতাকর্মীরা না আসায় ধীরে ধীরে জৌলুশ হারায় ভবনটি।

স্থানীয়রা জানান, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর সুন্দর মহলটি ‘দালাল মহল’ আখ্যা দিয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। এরপর ৩১ অক্টোবর রাতে নগরীর টাউন হল মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রওশন এরশাদের বাসভবন সুন্দর মহল ও জাতীয় পার্টির কার্যালয় ঘেরাও করেন বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে সুন্দর মহলের সামনের সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। এসময় সুন্দর মহলকে ‘জাতীয় দালাল মহল’ আখ্যা দিয়ে জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। এছাড়া তারা ময়মনসিংহে জাতীয় পার্টি সব কার্যক্রম প্রতিহত করার ঘোষণা দেন। সেইসঙ্গে স্বৈরাচারের সহযোগী অভিযোগ করে জাতীয় পার্টিকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।

তবে একটি সূত্র জাগো নিউজকে বলেছে, রেস্তোরাঁ নামে ভবনটি (সুন্দর মহল) একসময় ধীরে ধীরে দখল হয়ে যেতে পারে। যদিও জাতীয় পার্টির একজন পদধারী নেতা এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, দেশের রাজনৈতিক ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অন্যতম সাক্ষী এই বাড়ি দখলে নেওয়া এত সহজ নয়। কখনো এমনটি হলে, জাতীয় পার্টির নেতারা শক্তি সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়ে তা আগের রূপে ফিরিয়ে আনবে।

]

আরও পড়ুন এক ব্যক্তির এক কথায় দল পরিচালিত হবে না: রওশন এরশাদ

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের অনুসারী ও ময়মনসিংহ জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ওয়াহিদুজ্জামান আরজু জাগো নিউজকে বলেন, ‘এটি বেগম রওশন এরশাদের পৈতৃক বাড়ি। এখানে আনুমানিক ৩০ শতাংশ জায়গা রয়েছে। শুনেছি, রওশনের ভাই সুন্দর মহলটি রেস্তোরাঁ হিসেবে ভাড়া দিয়েছেন। তবে কে বা কারা ভাড়া নিয়েছেন তা আমার জানা নেই।’

বক্তব্য জানতে ময়মনসিংহ মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবদুল আওয়াল সেলিম ও জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু মূসা সরকারের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাদের পাওয়া যায়নি।

তবে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও ময়মনসিংহ মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি জাহাঙ্গীর আহম্মেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘সুন্দর মহলে রেস্তোরাঁ হওয়ার বিষয়টি আমিও জেনেছি। শুনেছি, ১০ বছরের জন্য চুক্তি করে ভাড়া নেওয়া হয়েছে। প্রতিমাসে ৪০ হাজার টাকা ভাড়া পরিশোধ করতে হবে। তবে এটি একক মালিকানায় নেওয়া হয়নি। যৌথ মালিকানার বিষয়টি জানতে পেরেছি। তবে কে কে মালিকানায় আছেন, তা এখনো জানতে পারিনি।’

জাতীয় পার্টির এই নেতা আরও বলেন, রেস্তোরাঁ দেওয়ার ক্ষেত্রে বজলুর রহমান মিন্টুর সঙ্গে মালিকানায় স্থানীয় বিএনপির কোনো নেতার কিংবা তার অনুসারীর নাম থাকতে পারে। তবে এ নিয়ে কেউই মুখ খুলছেন না।

আরও পড়ুন ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করলেন জাতীয় পার্টির শতাধিক নেতাকর্মী

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে ‘সুন্দর মহল’ ভাড়া নেওয়া বজলুর রহমান মিন্টুর মোবাইল নম্বরে থেমে থেমে টানা দুই সপ্তাহ কল দেওয়া হয়। এরমধ্যে একবার কল রিসিভ করেন তিনি। কবে সুন্দর মহল ভাড়া নিয়েছেন? মালিকানায় কতজন? কবে রেস্তোরাঁ চালু হবে? জাগো নিউজের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে এমন প্রশ্ন করতেই বলেন, ‘আমি একটা মিটিংয়ে আছি। এ নিয়ে আপনার সঙ্গে পরে কথা বলা হবে।’

এরপর আরও এক সপ্তাহ বিভিন্ন সময় তার নম্বরে কল দিলেও রিসিভ করেনি তিনি। পরে হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্ন করা হলেও কোনো কথা বলেননি বজলুর রহমান মিন্টু।

তবে মহলটিতে রেস্তোরাঁ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বজলুর রহমান মিন্টুর ম্যানেজার আল আমিন। তিনি ময়মনসিংহ সদরের দাপুনিয়াতে অবস্থিত কুটুমবাড়ি রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

আল আমিন জাগো নিউজকে বলেন, “ঢাকা, ময়মনসিংহ সদরের দাপুনিয়া ও জেলার ফুলবাড়ীয়া পৌর শহরে একটি করে ‘কুটুমবাড়ি রেস্টুরেন্ট’ ও ‘কুটুমবাড়ি মিষ্টি’ নামের রেস্তোরাঁ রয়েছে। এগুলোর মালিক বজলুর রহমান মিন্টু। আমাদের আরেকটি শাখা বাড়ানো হচ্ছে। সুন্দর মহলে হবে ওই রেস্তোরাঁ। এটির মালিকানাতেও আছেন বজলুর রহমান মিন্টু। কবে রেস্তোরাঁটি চালু হবে, তা আমরা বলতে পারবো না।”

আরও পড়ুন মনোনয়ন বাণিজ্য: জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

তিনি আরও বলেন, আমাদের জানামতে বজলুর রহমান মিন্টু কোনো দলের রাজনীতি করেন না। ব্যবসায়ী হিসেবেই পরিচিত তিনি।

ফুলবাড়ীয়ায় ‘কুটুমবাড়ি রেস্টুরেন্ট’ রমজান উপলক্ষে বন্ধ রয়েছে। তবে ‘কুটুমবাড়ি মিষ্টির’ দোকান চালু রয়েছে। এই দোকানের ম্যানেজার এনামুল হক। তিনিও একই ধরনের বক্তব্য দিয়ে জাগো নিউজকে বলেন, ‘সুন্দর মহলে কুটুমবাড়ি নামে রেস্তোরাঁ হবে। কুটুমবাড়ি নামে এটি আমাদের চতুর্থ শাখা। তবে এখনো রেস্তোরাঁর কাজ শুরু হয়নি। কতদিন সময় লাগবে তা আমাদের জানা নেই।

এ বিষয়ে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ বিভাগ) ও ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি দেশের বাইরে আছি। বিষয়টি এখনো আমার জানা নেই। বিএনপির কোনো নেতার নামে কিংবা বেনামে সুন্দর মহলের রেস্তোরাঁর মালিকায় আসবে বলে আমার মনে হয় না। এছাড়া এই এলাকায় এবং আলোচিত এই বাসায় (সুন্দর মহল) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রেস্তোরাঁ দিতে অনুমতি দেবে কিনা, তাও সন্দেহ রয়েছে। দেশে এসে বিষয়টি জানতে চেষ্টা করবো।’

১৯৫৬ সালে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদে সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন রওশন এরশাদ। এরপর স্বামীর রাজনৈতিক সাহচর্যে এসে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এর ধ্যে ১৯৯৬, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসন থেকে, ২০০১ সালে গাইবান্ধা এবং ২০০৮ সালে শ্বশুরবাড়ির এলাকা রংপুর থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন দেশের এই ফার্স্ট লেডি। বেগম রওশন এরশাদ দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেত্রী ছিলেন।

এসআর/জিকেএস