দেশজুড়ে

ইফতারের বাহারি আয়োজন থাকলেও বেচাবিক্রি নেই

পাবনায় বাহারি ইফতারের পসরা নিয়ে বসলেও মন ভালো নেই ব্যবসায়ীদের। অন্যবারের মতো বেচাবিক্রি নেই বলে হতাশ রেস্তোরাঁ মালিকরা।

Advertisement

দুপুর থেকে পাবনার আব্দুল হামিদ সড়ক ও রূপকথা সড়কে বাহারি নানা ইফতার বিক্রির জন্য বসে রেস্তোরাঁগুলো। বিক্রেতাদের হাঁ ডাকে শোরগোল পড়ে যায়। শহরের প্যারাডাইস সুইটস, বনলতা, কাশ্মীরি, খাবার বাড়ি, শ্যামল দই ভাণ্ডার, লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভাণ্ডার, মৌটুসি, ঢাকা কাচ্চিঘর, রূপকথার কাব্যসহ জনপ্রিয় প্রায় খাবারের দোকান ইফতার নিয়ে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন।

এসব দোকানে রেশমি জিলাপি, বোম্বাই জিলাপি, দই, তেহারি ও নানা পদের মিষ্টির পসরা সাজিয়েছেন প্যারাডাইস সুইটস। সাড়াও মিলছে ভালো। তবে অন্যান্য বছরের চেয়ে ক্রেতা কিছুটা কম।

রোস্তোরাঁ মালিক শোয়েব ইকবাল বলেন, রমজানে আমরা প্রতিবছর সীমিত লাভে পাবনার মানুষের জন্য ইফতারের আয়োজন করি। এ বছরও আমাদের বোম্বাই জিলাপি ও রেশমি জিলাপি ভালো বিক্রি হচ্ছে। আর বরাবরের মতো আমরা রোজাদারদের জন্য সুলভ মূল্যে তেহারি আয়োজন করেছি।

Advertisement

অভিজাত রেস্তোরাঁ রূপকথার কাব্যে রয়েছে ইফতারের ব্যতিক্রমী আয়োজন। গত বছরের বিপুল সাড়া পেয়ে এবারও তারা ইফতার মেন্যুতে এনেছেন পুরনো ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ইফতার বড় বাপের পোলায় খায়। এছাড়াও চিকেন কাবাব, চিকেন সাসলিক, জালি কাবাবসহ নানা পদের কাবাব আইটেম ৫০-১২০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।

বৈচিত্র্যময় ইফতার আয়োজন করেছে খাবারবাড়িও। সুস্বাদু জিলাপি, চিকেন সাসলিক, বুন্দিয়া, চিকেন ফ্রাইয়ের পাশাপাশি এ রেস্তোরাঁয় মিলছে গরুর মাংসের হালিম।

খাবারবাড়ি রেস্তোরাঁর ম্যানেজার আজাদ রহমান বলেন, খাবারে বৈচিত্র্য আনা ও সাশ্রয়ী দামে ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দিতে আমরা গরুর মাংসের হালিম এনেছি। প্রথমবার হলেও ক্রেতাদের ব্যাপক সাড়া মিলছে। তবে রমজানের শুরুর দিকে জমজমাট বেচাকেনা হলেও এখন অনেকটা কম। আমরা খাবারের দাম বাড়াইনি কিন্তু অর্থনৈতিক সংকটে ক্রেতা কিছুটা কম বলে মনে হচ্ছে।

ঢাকা কাচ্চিঘর, কাচ্চি ভাইয়া, বিরিয়ানী হাউস, রাজ বিরিয়ানী হাউসে খাসি, গরু, মুরগির বিরিয়ানির ভালো বেচাকেনা চলছে। তেহারির চাহিদাও ভালো বলে জানান বিক্রেতারা। তবে ক্রেতা সংকটে অন্যান্য বছরের তুলনায় বিক্রি কম।

Advertisement

আলমগীর হোসাইন (নাবিল)/আরএইচ/জেআইএম