দেশজুড়ে

অভিযুক্ত কিশোরকে পুলিশ হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা

যশোরে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রের (১১) বিরুদ্ধে চার বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কিশোরকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

বুধবার (১৯ মার্চ) যশোর সদরে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর অভিযুক্তকে কয়েক দফায় ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে বিক্ষুব্ধ একদল শিক্ষার্থী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে থানার এক কনস্টেবল হামলার শিকার হন।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত কিশোরকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন শিশুর বাবা।

ভুক্তভোগী শিশুর বাবার অভিযোগ, তিনি, তার স্ত্রী ও ছেলে কাজে বাইরে ছিলেন। দুপুরের খাবার খেতে তিনি বাড়ি এসে দেখেন তাদের প্রতিবেশীর পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে তার মেয়েকে ধর্ষণচেষ্টা করছে। এসময় তিনি মেয়েকে উদ্ধার ও ছেলেটিকে আটক করেন। কিন্তু ছেলেটি তার হাত থেকে ছুটে পালিয়ে যায়।

Advertisement

এদিকে, শিশুটির ভাইয়ের কাছ থেকে খবর পেয়ে যশোর সরকারি এমএম কলেজ ও জিলা স্কুলের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা করেন। সেখানে অভিযুক্তের বাবা ও তাদের বাড়িওয়ালার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। এরপর বিক্ষোভকারীরা থানায় এসে অবস্থান নেন।

বিকেল ৪টার দিকে পুলিশ অভিযুক্ত কিশোরকে আটক করে থানায় নেওয়ার সময় বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা হামলা চালান। বিকেল ৫টার পর থানা ভবনের ভেতরে এক ব্যক্তিকে মারধর করেন তারা। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থানায় কর্তব্যরত পুলিশ তাদের ভবনের বাইরে নিয়ে যেতে চাইলে এক পুলিশ সদস্যকে ধাওয়া করেন বিক্ষুব্ধরা।

ওসির কক্ষে হেফাজতে থাকা ওই কিশোরকে কয়েক দফা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা ও মারধর করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এ অবস্থায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশারসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা কোতোয়ালি থানায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন জানান, চার বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত কিশোরকে আটক করা হয়েছে। তার বয়স নির্ধারণ করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Advertisement

মিলন রহমান/এসআর/জেডএইচ