আন্তর্জাতিক

গাজায় ইসরায়েলি হামলা: দেশে দেশে নিন্দার ঝড়

গাজায় ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) অবরুদ্ধ গাজায় চালানো হামলায় কয়েকশ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগীদের মধ্যে রয়েছে নারী ও শিশুও।

Advertisement

যুদ্ধবিরতির মধ্যেও ইসরায়েলের পরিচালিত এমন প্রাণঘাতী হামলার পর দেশে দেশে নিন্দার ঝড় উঠেছে। তীব্র সমালোচনা করা হচ্ছে ইসরায়েলের।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে মধ্যস্থাকারী দেশ কাতার এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে, যা মধ্যপ্রাচ্যকে আরও অস্থিতিশীল করতে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে।

নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সরাসরি বোমা হামলার নিন্দা জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের শক্তিশালী দেশ সৌদি আরব।

Advertisement

জর্ডান রাতের বোমাবর্ষণকে বর্বর বলে অভিহিত করেছে ও এই আগ্রাসন বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, পরিস্থিতির অবনতি আরও উত্তেজনারই অংশ। এটি আমাদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে।

এই হামলায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেসও। তিনি হতাশা ব্যক্ত করেন।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই এক বিবৃতি জারি করে গাজায় ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

Advertisement

ইরান বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সবুজ সংকেত ও উপত্যকায় খাদ্য ও ওষুধের ওপর চলমান অবরোধের মধ্যেই এই হামলা চালানো হচ্ছে।

মুখপাত্র এই হামলাগুলো অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে গণহত্যা ও জাতিগত নির্মূলের ধারাবাহিকতা হিসেবে বর্ণনা করেন।

এ সংঘাতের মধ্যস্থতাকারী দেশ মিশর থেকেও প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে।

এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, ইসরায়েলি বিমান হামলা যুদ্ধবিরতি চুক্তির একটি স্পষ্ট লঙ্ঘন, যা এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ।

মঙ্গলবারের (১৮ মার্চ) হামলাটি গাজাজুড়ে চালানো হয়। এর মধ্যে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস, রাফাহ, উত্তরে গাজা সিটি ও দেইর এল-বালাহর মতো কেন্দ্রীয় এলাকা অন্তর্ভুক্ত ছিল।

সূত্র: আল-জাজিরা

এমএসএম