তরমুজের বীজ ছোট, কালো বা বাদামি রঙের হতে পারে। বীজগুলো সাধারণত ফলের মাঝখানে পাওয়া যায়। বেশিরভাগ সময় এগুলো ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু বীজগুলো সঠিক উপায়ে সংরক্ষণ করলে চাষের জন্য উপযোগী হতে পারে।
Advertisement
বীজের প্রকারভেদতরমুজের বীজ সাধারণত ৩ প্রকার: কালো, লাল এবং সাদা। প্রতিটি প্রকারের বীজের কিছুটা ভিন্নতা থাকতে পারে।
কালো বীজ: সবচেয়ে সাধারণ এবং সহজলভ্য প্রকার।লাল বীজ: লাল তরমুজ বীজ কিছুটা বিরল।সাদা বীজ: সাদা বীজগুলো সাধারণত কাঁচা অবস্থা।
সংরক্ষণ পদ্ধতি এটি সংরক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিশেষত যদি আপনি দীর্ঘ সময় ধরে বীজ ব্যবহার করতে চান। সঠিক সংরক্ষণ পদ্ধতি অনুসরণ করলে বীজের পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ণ থাকে এবং তা ব্যবহার উপযোগী থাকে।
Advertisement
তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ: তরমুজ বীজ সংরক্ষণের জন্য শুষ্ক এবং ঠান্ডা পরিবেশের প্রয়োজন হয়। বীজগুলোকে এমন স্থানে রাখতে হবে যেখানে সরাসরি সূর্যালোক পড়ে না এবং তাপমাত্রা ২০° সেলসিয়াসের নিচে থাকে। আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণের জন্য বীজগুলোকে বায়ু-অব্যাহত পাত্রে সংরক্ষণ করা উচিত।
দীর্ঘ সময় ধরে সংরক্ষণের কৌশল: লম্বা সময় ধরে তরমুজ বীজ সংরক্ষণ করতে হলে সেগুলোকে ফ্রিজে রাখা যেতে পারে। প্লাস্টিকের জিপলক ব্যাগ বা বায়ুরোধী কন্টেইনার ব্যবহার করে ফ্রিজে রাখলে বীজ দীর্ঘ সময়ের জন্য ভালো থাকে।
সাধারণ ভুলএটি সংরক্ষণের সময় কিছু সাধারণ ভুল করা হয়, যা বীজের গুণগত মান নষ্ট করতে পারে।
অতিরিক্ত আর্দ্রতা: অনেক সময় বীজের মধ্যে অতিরিক্ত আর্দ্রতা থেকে গেলে তা সহজেই ফাঙ্গাস বা ছত্রাক দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। তাই বীজ শুকনো রাখতে হবে।
Advertisement
খোলা স্থানে রাখা: খোলা স্থানে বীজ রাখলে তা বাতাসের আর্দ্রতা এবং তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই বায়ুরোধী পাত্রে রাখা জরুরি।
এসইউ/এএসএম