পানি সংক্রান্ত অপরাধের জন্য সরকারি কর্মকর্তাকে তথ্য-উপাত্ত না দিলে বা কাউকে তার সামনে হাজির হতে বাধা দিলে এবং মিথ্যা বা বিকৃত তথ্য দিলে- এসব অপরাধের বিচার হবে ভ্রাম্যমাণ আদালতে (মোবাইল কোর্টে)।
Advertisement
এজন্য মোবাইল কোর্ট আইনের তফসিলে বাংলাদেশ পানি আইনের ৩০(২) ও ৩১ ধারা সংযোজন করে সোমবার (১৭ মার্চ) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।
অর্থাৎ, এখন থেকে বাংলাদেশ পানি আইনের ৩০(২) ও ৩১ ধারার অপরাধের বিচার ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে করা হবে।
আরও পড়ুন নওগাঁয় মজুত ২৩৮ টন ধান-চাল জব্দ, গুদাম সিলগালা একই কর্মস্থলে ২১ বছর, ‘ঘুস ছাড়া’ নড়েন না ছাবিউল এতদিন অসীম দুর্নীতি চলেছে: প্রধান উপদেষ্টাবাধা প্রদানের দণ্ড সংক্রান্ত বাংলাদেশ পানি আইনের ৩০(২) ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত দায়িত্ব পালনরত কোনো কর্মকর্তার তলব অনুযায়ী তাহার সম্মুখে কোনো রেজিস্টার, নথি বা দলিল-দস্তাবেজ উপস্থাপন করিতে ইচ্ছাকৃতভাবে অস্বীকার করিলে বা ব্যর্থ হইলে অথবা উক্তরূপ দায়িত্ব পালনরত কোনো কর্মকর্তার সম্মুখে কোনো ব্যক্তিকে হাজির হইতে বা তাহার জবানবন্দি গ্রহণ করিতে ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা প্রদান করিলে বা বাধা প্রদানের চেষ্টা করিলে, তিনি অনধিক ৩ (তিন) মাস কারাদণ্ড অথবা অনধিক ২ (দুই) হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। ব্যাখ্যা: এই ধারায়, “বাধা” অর্থে হুমকিও অন্তর্ভুক্ত হইবে।’
Advertisement
আর মিথ্যা তথ্য প্রদানের দণ্ড সংক্রান্ত ৩১ ধারায় বলা আছে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বা জ্ঞাতসারে কোনো মিথ্যা বা বিকৃত তথ্য প্রদান বা তথ্য গোপন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ১ (এক) বৎসর কারাদণ্ড অথবা অনধিক ৩ (তিন) হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।’
আরএমএম/ইএ/জিকেএস