রমজান মাসে খুলনার বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ফল। বিভিন্ন বিদেশি ফলের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। তবে দেশি ফলের দাম রয়েছে কম। এজন্য ক্রেতারা দেশি ফল বেশি ক্রয় করছেন। তবে ফলের দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের রয়েছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।
Advertisement
খুলনার ময়লাপোতা, রুপসা, নিউ মার্কেট ও দৌলতপুর বাজারের ফলের বাজার ঘুরে জানা যায়, আপেল বর্তমানে ২৮০-৩৬০ টাকা কেজি, মাল্টা ২৮০ টাকা, চায়না কমলা কেজি ৩২০ টাকা, মাল্টা প্রতি কেজি ২৮০-২৯০ টাকা, সবুজ আঙুর ৪৪০-৪৬০ টাকা ও লাল আঙুর ৬০০ টাকা, আনার ৪২০-৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে দেশি ফলের মধ্যে তরমুজ ৩০-৪০ টাকা কেজি, আনারস জোড়া ৫০-৬০ টাকা, পেয়ারা ৮০-১০০ টাকা, পাকা পেঁপে ১২০-১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
ময়লাপোতা মোড়ের ফল ব্যবসায়ী কাওসার মোল্যা বলেন, আমদানি করা ফলের দাম সবসময় একটু বেশি থাকে। আর ভ্যাট-ট্যাক্স এবং পরিবহন খরচের ওপর সারা বছর ফলের দাম ২০-৩০ টাকা ওঠানামা করে।
Advertisement
রুপসার ফল ব্যবসায়ী ইমদাদ খলিফা বলেন, পেয়ারার দাম এখন বেশি। চাহিদার তুলনায় হাইব্রিড পেয়ারাগুলো বাজারে কম বলে দাম বেড়েছে। তবে শুল্ক না কমলে অন্যান্য বিদেশি ফলের দাম কমার সম্ভাবনা নেই।
নগরীর কদমতলা মোড়ের তরমুজ ব্যবসায়ী ইয়াকুব হাওলাদার বলেন, তরমুজের দাম গতবারের তুলনায় এবার অনেক কম। ২৫ টাকা কেজিতেও তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। একটু বড় তরমুজ ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতা আবুল খায়ের বাশার বলেন, অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য কিনতে হিমশিম খেতে হয়। ফল কেনা মধ্যবিত্তদের কাছে স্বপ্নের মতো। একটা তরমুজ কিনতে গেলে গুনতে হয় ২০০-২৫০ টাকা। তবে তরমুজের দাম তুলনামূলক অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার একটু কম। গত বছর এসময় ৮০-১০০ টাকা দরে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হয়েছে।
গৃহিণী পাপিয়া খাতুন বলেন, আপেল, কমলা, মাল্টা এবং আঙুরের দাম আকাশচুম্বী। ফলে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন থাকলেও খাদ্য তালিকায় এ ফল রাখতে মধ্যবিত্তদের হিমশিম খেতে হয়। এজন্য তরমুজ, আনারস আর দেশি সবুজ মাল্টা কিনতে হয়।
Advertisement
বড় বাজারের পাইকারি ফল ব্যবসায়ী নওশের মিয়া বলেন, আমদানি করা ফলের দাম সব সময় একটু বেশি। আমদানি করা ফলে অতিরিক্ত শুল্কের কারণে মূলত দাম বেড়ে যায়। আমরা পাইকারি ফল বিক্রেতা। বড় চালানে লাভ একটু বেশি হয়। তবে ফলের ব্যবসা এখন তেমন একটা লাভজনক না।
আরিফুর রহমান/এফএ/জিকেএস