ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তিন হাজার কোটি টাকার বেশি মুনাফা অর্জন করেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
Advertisement
সোমবার (১৭ মার্চ) বেবিচকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মাদ কাউছার মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত অর্থবছরে শুধু ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশের এভিয়েশন ইতিহাসের সর্বোচ্চ প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার অধিক মুনাফা অর্জন এবং ১২ দশমিক ৫ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহন সম্ভব হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের দিক-নির্দেশনা, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতা এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের প্রতিটি সদস্যের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ দেশের এভিয়েশন খাত এক নতুন দিগন্তের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
আরও বলা হয়, বেবিচকের ক্রমবর্ধমান এভিয়েশন শিল্পের বিকাশ, জনশক্তি রপ্তানি, পর্যটনশিল্প, বৈদেশিক বিনিয়োগ, সুষ্ঠু ও নিরবচ্ছিন্ন আমদানি-রপ্তানি নিশ্চিত এবং টেকসই জাতীয় উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। দেশের এভিয়েশন খাতের বিকাশকে আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের বিধি অনুযায়ী পরিচালনা এবং একই সঙ্গে সক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশের সব আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরগুলোকে অত্যাধুনিক এবং যাত্রীবান্ধব করাসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে বেবিচক সাম্প্রতিক সময়গুলোতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এখন বিমানবন্দরের যাত্রীসেবার সার্বিক মান উন্নয়ন এবং মুনাফা অর্জনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক প্রমিত প্রবিধানমালা প্রতিপালনের মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান এভিয়েশন শিল্পের সার্বিক বিকাশ নিশ্চিত করতে বিমানবন্দরগুলো সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
Advertisement
এছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে বেবিচকের এভিয়েশন সিকিউরিটি বিভাগ, এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, অঙ্গীভূত সাধারণ আনসার সদস্যসহ বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। তৃতীয় টার্মিনাল পরিচালনার জন্য নিরাপত্তা বিভাগের (এভসেক) তিন হাজার ৪৯২ জনসহ সর্বমোট পাঁচ হাজার ১১২ জন নিয়োগের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এমএমএ/এমএএইচ/