দেশের আরও ১১৫টি উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক (এমভিসি) বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) থেকে ৪৬৬টি এমভিসি দেওয়া হয়েছিল। ওই কার্যক্রমের তৃতীয় ও শেষ ধাপে আজ সোমবার অবশিষ্ট উপজেলাতে এগুলো বিতরণ করা হয়।
Advertisement
সোমবার (১৭ মার্চ) বিকেলে মহাখালীস্থ প্রাণিসম্পদ গবেষণা কেন্দ্র (এলআরআই) প্রাঙ্গণে ১১৫টি উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক (এমভিসি) বিতরণ অনুষ্ঠান হয়।
অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এসভিসি একটি বড় অর্জন। তবে এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় এই ক্লিনিকের সেবা পৌঁছে দিতে হবে। এটি গাড়ির মতো চার চাকা হলেও এটি গাড়ি নয়, এটি হচ্ছে একটি হাসপাতাল। যেখানে প্রাণি চিকিৎসার সবকিছুই থাকছে। থাকছেন একজন সার্জনও।
Advertisement
এসময় উপদেষ্টা প্রাণিসম্পদ অধিপ্তরের মহাপরিচালক এবং সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে বলেন, এই সেবাটি প্রত্যন্ত খামারিদের কাছে পৌঁছাতে হবে। এর অন্য কোনো ব্যবহার যেন না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে।
তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা যায় বড় বা বাণিজ্যিক খামারগুলোকে আমরা সেবা দেই। এই সেবা গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত খামারিদের কাছে পৌঁছানের ব্যবস্থা নিতে হবে। তারা যেন এ সেবার বিষয়ে জানতে পারেন তার উদ্যোগও নিতে হবে।
প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, গ্রামীণ মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি ক্লিনিক হলেও আছে। এখন থেকে প্রাণির সেবায়ও চালু হচ্ছে। তবে এটির সেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসকদের সচেতন থাকতে হবে। তাদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মানুষের নিরাপদ আমিষ নিশ্চিত করতে এই ভেটেরিনারি ক্লিনিক বা ‘প্রাণীর পাশেই ডাক্তার’ এর গুরুত্ব বেশি। কোনো প্রাণি অসুস্থ হলে তার আশপাশের অনেক প্রাণীও অসুস্থ হতে পারে। এ বিষয়টি বিবেচনায় রেখে সব প্রাণীর সেবা নিশ্চিত করতে হবে। যেন অসুস্থ প্রাণী বাজারে অসতে না পারে। হাঁস-মুরগি থেকে সব গবাদি পশু ও পাখির সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে অনেক উপজেলা রয়েছে যেখানে গাড়ি চলাচল করতে পারে না। সেখানে আমাদের নৌকা বা স্পিডবোট দিয়ে সেবা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে আরও বক্তৃতা করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নিলুফা আক্তার, মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. বয়জার রহমান, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ডা. জসিম উদ্দিন, শৈলকূপা সম্মিলিত খামারি পরিষদ ও কৃষক ফেডারেশনের মুখপাত্র জুলাইয়ের আহত যোদ্ধা তানজীর আলম রবিন।
এসময় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, বিভিন্ন প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পরামর্শক, প্রাণিসম্পদ খাতের বিজ্ঞানী-গবেষক, উদ্যোক্তা এবং মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক গ্রহণকারী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও চালকরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এনএইচ/এমকেআর/এএসএম