ইউক্রেনের সঙ্গে যে কোনো শান্তি চুক্তিতে ‘লৌহকঠিন’ নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দাবি করেছে রাশিয়া, যেখানে ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্যপদ না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে। সোমবার (১৭ মার্চ) রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার গ্রুশকো এই মন্তব্য করেন।
Advertisement
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩০ দিনের একটি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করছেন, যা ইউক্রেন এরই মধ্যে মেনে নিয়েছে। তবে পুতিন জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি গ্রহণযোগ্য হতে হলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত পূরণ করতে হবে।
এর আগে রোববার ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ জানিয়েছিলেন, তিনি মস্কোতে পুতিনের সঙ্গে ‘ইতিবাচক’ আলোচনা করেছেন ও যুদ্ধের সমাপ্তির উপায় নিয়ে ট্রাম্প চলতি সপ্তাহেই পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন।
রুশ সংবাদমাধ্যম ইজভেস্তিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গ্রুশকো বলেন, রাশিয়া শান্তি চুক্তিতে দৃঢ় নিরাপত্তা নিশ্চয়তা চাইবে। তিনি স্পষ্ট করেন যে, ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য করা যাবে না। সেই সঙ্গে ইউক্রেনে কোনোভাবেই ন্যাটোর সেনা মোতায়েন করা চলবে না।
Advertisement
অন্যদিকে, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণের জন্য শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠাতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেছেন, তার দেশও যে কোনো অনুরোধের জন্য উন্মুক্ত। ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী পাঠানোর সিদ্ধান্ত কিয়েভের, মস্কোর নয়।
তবে গ্রুশকো হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ন্যাটোর সেনা কোনোভাবেই ইউক্রেনের মাটিতে প্রবেশ করতে পারবে না। যদি তারা সেখানে অবস্থান নেন, তাহলে তাদেরকেও সংঘাতের অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, শান্তি চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর কেবল নিরস্ত্র পর্যবেক্ষক মোতায়েন নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। ইউরোপীয় মিত্রদের বোঝা উচিত যে, শুধুমাত্র ইউক্রেনকে ন্যাটো থেকে বাদ দেওয়া ও সেখানে বিদেশি সেনা মোতায়েন নিষিদ্ধ করলেই প্রকৃত নিরাপত্তা আসবে। তখন ইউক্রেন এবং সমগ্র অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে, কারণ সংঘাতের মূল কারণগুলোর একটি মুছে যাবে।
সূত্র: রয়টার্স
Advertisement
এসএএইচ