সাদমান ইসলাম ও মুমিনুল হকদের টেস্ট স্পেশালিস্ট বলেই ধরা হয় বেশি। ক্লাবকর্তা ও বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর চোখ তাদের ওপর পড়ে না তেমন। যে কারণে বিপিএলে দল পান না মুমিনুল-সাদমানরা। আবার পেলেও খেলার সুযোগ কম মেলে।
Advertisement
কিন্তু তারা যে অবহেলার পাত্র নয় এবং লাল বলের পাশাপাশি সাদা বলেও ভালো খেলার সামর্থ্য আছে; এমনকি দীর্ঘ ইনিংস খেলে দলকেও জেতাতে পারেন, তার প্রকৃত উদাহরণ মিললো গত দুদিনে।
গতকাল শনিবার বিকেএসপি মাঠে ৯২ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে আবাহনীকে জেতান মুমিনুল। আজ বিকেএসপি ৪ নম্বর মাঠে অগ্রণী ব্যাংকের হয়ে ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরি উপহার দেন জাতীয় টেস্ট দলের ওপেনার সাদমান ইসলাম।
রোববার বিকেএসপি মাঠ রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে বাঁহাতি ওপেনার সাদমান ১০৮ বলে ১১৫ রানের (১১ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কা) হার না মানা ইনিংস উপহার দিলে ৭ উইকেটে জয় পায় অগ্রণী ব্যাংক।
Advertisement
অগ্রণী ব্যাংকের জন্য লক্ষ্য বড়ই ছিল। জিততে দরকার ছিল ২৬১ রানের। সাদমান একদিক আগলে রাখেন।
এছাড়া অধিনায়ক ইমরুল কায়েস (৫৮ বলে ৬২), ওপেনার ইমরানউজ্জামান (২০ বলে ২৫) আর অভিজ্ঞ মার্শাল আইয়ুব অপরাজিত ৫৪ বলে ৩৪ রান করলে ৭ উইকেট আর ৩১ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় অগ্রণী ব্যাংক। লিগে ৫ ম্যাচে অগ্রণী ব্যাংকের এটা তৃতীয় জয়। অন্যদিকে রূপগঞ্জ টাইগার্স একমাত্র দল হিসেবে ৫ ম্যাচের সবকগুলোতেই হারলো।
সংক্ষিপ্ত স্কোররূপগঞ্জ টাইগার্স: ৫০ ওভারে ২৬০ (অমিত মজুমদার ৮১, আসাদুল্লাহ গালিব ৫৭, আল আমিন জুনিয়র ৩২, আরিফুল হক ৪০; রুয়েল মিয়া ৩/৪২, তাইবুর রহমান ৩/৪১)।
অগ্রণী ব্যাংক: ৪৪.৫ ওভারে ২৬১/৩ (সাদমান ইসলাম ১১৫, ইমরানউজ্জামান ২৮, ইমরুল কায়েস ৬২, অমিত হাসান ১৫, মার্শাল আইয়ুব ৩৪*; মাহমুদুল হাসান লিমন ২/৫০, মেহেদী ১/৩৬)।
Advertisement
ফল: অগ্রণী ব্যাংক ৭ উইকেটে জয়ী।
এআরবি/এমএইচ/জেআইএম