ইয়েমেনে বড় পরিসরে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে সেখানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে।
Advertisement
একই দিনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুথিদের প্রধান সমর্থক ইরানকে সতর্ক করে বলেছেন, অবিলম্বে এই গোষ্ঠীর প্রতি সমর্থন বন্ধ করা উচিত। তিনি আরও বলেন, যদি ইরান যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দেয় তাহলে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মূলত যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজা উপত্যকায় কোনো ধরনের খাদ্যদ্রব্য, পানি বা ওষুধ সরবরাহ করতে দিচ্ছে না ইসরায়েল। ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তাই হুথিরা লোহিত সাগরে ইসরায়েলি জাহাজগুলোতে পুনরায় আক্রমণ শুরু করার হুমকি দেওয়ার পরেই যুক্তরাষ্ট্র এই হামলা চালালো।
হুথিদের মুখপাত্র মোহাম্মদ আব্দুল-সালাম এক বিবৃতিতে অভিযোগ করে বলেছেন, জনমতকে প্রভাবিত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচলের হুমকির বিষয়টি অতিরঞ্জিত করছে।
Advertisement
সংগঠনের রাজনৈতিক ব্যুরোর পক্ষ থেকেও একটি পৃথক বিবৃতি জারি করা হয়েছে। ওই বিবৃতিতে রাজধানী সানার ওপর বিশ্বাসঘাতক মার্কিন আগ্রাসনের নিন্দা করা হয়েছে এবং আবাসিক এলাকা ও বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে অভিহিত করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে যে, ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি ইয়েমেনের সংহতির অবস্থানের প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে। তবে তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, তাদের দেশের বিরুদ্ধে মার্কিন আগ্রাসন ফিলিস্তিনের প্রতি ইয়েমেনের সমর্থন অব্যাহত রাখা এবং গাজার প্রতি তাদের বাধ্যবাধকতা পূরণ থেকে বিরত রাখতে পারবে না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, এই আগ্রাসনের জবাব দেওয়া হবে এবং ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী এই হামলা প্রতিহতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।
সূত্র: এএফপি, আল-জাজিরা
Advertisement
এমএসএম