কুয়েতে ছয় মাসের মধ্যে ৪২ হাজারের বেশি ব্যক্তি নাগরিকত্ব হারিয়েছেন। জাতীয় নাগরিকত্ব আইন ও বৈধভাবে বসবাসের নিয়মাবলী মেনে চলা নিশ্চিত করতে দেশটির সরকার পরিচালিত ব্যাপক প্রশাসনিক পর্যালোচনার অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
Advertisement
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে একটি সুপ্রিম কমিটির তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো অনিয়মিত নাগরিকত্ব, দ্বৈত নাগরিকত্বের নিয়ম লঙ্ঘন এবং জালিয়াতি বা ভুল নথিপত্রের মাধ্যমে প্রাপ্ত নাগরিকত্বের ঘটনাগুলোর সমাধান করা।
কর্তৃপক্ষ জোর দিয়ে জানিয়েছে, এই প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণরূপে কুয়েতি আইন অনুসারে পরিচালিত হচ্ছে ও এর মাধ্যমে জাতীয়তা ব্যবস্থার অখণ্ডতা বজায় রাখার প্রতি দেশটির প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হচ্ছে।
মূলত কুয়েতি আইনের ওপর ভিত্তি করে তাদের নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করা হয়েছে। জালিয়াতি, অসততা বা জাতীয় নিরাপত্তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এমন কর্মকাণ্ডের কারণে দেশটিতে নাগরিকত্ব বাতিল করার বিধান রয়েছে।
Advertisement
সূত্রগুলো জানিয়েছে, প্রতিটি ঘটনা পৃথকভাবে পর্যালোচনা করা হয়। বিস্তারিত তদন্ত ও আইনি মূল্যায়নেরভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মূলত জাতীয় রেজিস্ট্রিতে অসঙ্গতি সংশোধন করা ও জনসেবা এবং সুবিধা বণ্টনে ন্যায্যতা নিশ্চিত করাই এর লক্ষ্য।
কুয়েতের নীতিমালা অনুযায়ী, দ্বৈত নাগরিকত্ব অনুমোদিত নয়। তাই কুয়েতের নাগরিকত্ব ধরে রাখার সময় অন্য কোনো নাগরিকত্ব ধারণকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
বলা হয়েছে, প্রক্রিয়াটি কোনো শাস্তিমূলক অভিযান নয়। বরং প্রশাসনিক রেকর্ডের একটি নিয়মতান্ত্রিক এবং আইনানুগ পর্যালোচনা, যার লক্ষ্য স্বচ্ছতা জোরদার করা, আমলাতান্ত্রিক অসঙ্গতি কমানো এবং জাতীয় কল্যাণ কর্মসূচির স্থায়িত্ব নিশ্চিত করা।
সূত্র: গাল্ফ নিউজ
Advertisement
এমএসএম