জাতীয়

এস কে সুর, তার স্ত্রী ও মেয়ের বিরুদ্ধে আরও মামলার অনুমোদন

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার (এস কে) সুর চৌধুরী, তার স্ত্রী সুপর্ণা সুর চৌধুরী এবং মেয়ে নন্দিতা সুর চৌধুরীর বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

Advertisement

রোববার (১৬ মার্চ) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

এর আগে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী না দেওয়ায় ২০২৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর এস কে সুর, তার স্ত্রী ও মেয়ের বিরুদ্ধে প্রথম মামলা করে দুদক।

নতুন মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সাবেক সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে এস কে সুর চৌধুরী ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে তার স্ত্রী ও মেয়ের নামে ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় উত্তোলন করে অবৈধ সম্পদের প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান ও মালিকানা গোপন করেছেন।

Advertisement

এজাহারে বলা হয়, এস কে সুর ছদ্মাবরণে ১ কোটি ৯৯ লাখ ৮৮ হাজার ১০১ টাকা, ১ কোটি ৬৯ লাখ ৩০০ মার্কিন ডলার, ৫৫ হাজার ইউরো এবং ১০০৫ দশমিক ৪ গ্রাম স্বর্ণালংকারসহ মোট ৫ কোটি ৯৬ লাখ ৫৩ হাজার ৯৭৯ টাকার সম্পদ জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে অর্জন করেছেন।

এদিকে এস কে সুর চৌধুরীর স্ত্রী সুপর্ণা সুর চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে স্বামীর ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সহযোগিতায় ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে ৪ কোটি ১০ লাখ ১৪ হাজার ৮২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন এবং তা ভোগদখলে রেখেছেন। আর নন্দিতা সুর চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে ব্যাংক হিসাবে ৭৪ লাখ ৭১ হাজার ৪৭৭ টাকার অবৈধ লেনদেন করেছেন। তিনি অসাধু উপায়ে সম্পদ অর্জন করে তা ভোগদখলে রেখেছেন। এই মামলায় এস কে সুরকেও আসামি করা হয়েছে।

এর আগে আলোচিত পি কে হালদারের আর্থিক কেলেঙ্কারিতে নাম আসায় ২০২২ সালে এস কে সুরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। ওই বছরের মার্চে তাকে দুদকে তলব করা হয়।

এর ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের আগস্টে এস কে সুর ও তার পরিবারের ব্যাংক লেনদেনের তথ্য চেয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি দেয় দুদক।

Advertisement

এস কে সুর চৌধুরী ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ডেপুটি গভর্নরের পদ থেকে অবসরে যাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি অবসরে রয়েছেন।

এসএম/এএমএ