জাতীয়

স্ত্রীসহ আসামি ইনু, শেখ সেলিমের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু 

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও তার স্ত্রী আফরোজা হকের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া দুর্নীতির অভিযোগে গোপালগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সেলিমের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।

Advertisement

রোববার (১৬ মার্চ) সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, প্রথম মামলায় সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল ইনু পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৪ কোটি ৮৪ লাখ ২৫ হাজার ৫০৭ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। ইনুর ৪টি ব্যাংক হিসাবে ১১ কোটি ৮৮ লাখ ১৬ হাজার ১৯ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। এই অর্থকে মানিলন্ডারিংয়ের সম্পৃক্ত অপরাধ ‘দুর্নীতি ও ঘুষ’ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত বলে দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে। আসামির বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা তৎসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন,২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।  

আরও পড়ুন

Advertisement

টিউলিপের বিরুদ্ধে জাল সই ব্যবহার করে বোনের নামে ফ্ল্যাট হস্তান্তরের অভিযোগ দুদকের মামলায় আওয়ামী লীগ নেতার ১১ বছরের কারাদণ্ড

দ্বিতীয় মামলায় ইনু ও তার স্ত্রী আফরোজা হকের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৪৯ লাখ ৮৫ হাজার ৭৪ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। সাবেক তথ্যমন্ত্রী অসদুপায়ে উপার্জিত অর্থ দ্বারা স্ত্রী সম্পদশালী হয়েছেন বলে এজাহারে বলা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা তৎসহ পেনাল কোডের ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর গত বছরের ২৬ আগস্ট হাসানুল ইনুকে উত্তরা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মো. আক্তার হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সেলিমের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতর মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানের ১ হাজার ৩০০ শত কোটি টাকার টেন্ডার কাজে পছন্দের ঠিকাদারের নিকট হতে ১০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ হারে কমিশন গ্রহণপূর্বক কার্যাদেশ প্রদানের অভিযোগ রয়েছে। এই বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর আত্মগোপনে আছেন শেখ সেলিম।

গত বছরের ২০ আগস্ট ফজলুল করিম সেলিম (শেখ সেলিম) ও তার পরিবারের ৯১ ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সব হিসাব তলব করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

Advertisement

এসএম/ইএ