ঢাকাই সিনেমার আলোচিত অভিনেতা মিশা সওদাগর। শুটিংয়ে কারণে দেশেই বেশির ভাগ সময় কাটাতে হয় তাকে। তবে সময় পেলেই ছুটে যান আমেরিকায়। ২০১৮ সালের পর থেকে সেখানেই তার স্ত্রী-সন্তানেরা থাকেন। ছেলেরা পড়াশোনা করেন। তাদের দেখাশোনার জন্য মিশাকে প্রায়ই যেতে হয় যুক্তরাষ্ট্রে।
Advertisement
সম্প্রতি আবারও সাত সাগর তের নদী পাড়ি দিয়ে পরিবারের কাছে পৌঁছালেন তিনি। এ যাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর পর মিশা সওদাগরকে ফুল দিয়ে স্বাগতম জানান নায়ক জায়েদ খান। ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘স্বাগতম মিশা ভাই। আজ অনেকদিন পর আবার দেখা হলো। আল্লাহ আপনাকে সুস্থ রাখুন, ভালো রাখুন।’
ঢাকাই সিনেমার দুই প্রজন্মের দুই অভিনেতা মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান। তবে দুজনের সম্পর্কটা পর্দার বাইরে দারুণ জমজমাট। মিশাকে বড় ভাইয়ের মতোই সম্মান ও মান্য করেন জায়েদ। সেইসঙ্গে দুজনে একসঙ্গে শিল্পী সমিতির রাজনীতিও করেছেন। দুই মেয়াদে মিশার সভাপতিত্বে সেক্রেটারির পদে দায়িত্ব পালন করেছেন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করা জায়েদ খান। প্রায়ই তিনি বলতেন, শিল্পীদের নেতা হিসেবে, নিজের নেতা হিসেবে মিশা সওদাগর তার কাছে সম্মানের। সেই নেতা ও বড় ভাইয়ের সঙ্গে বেশ লম্বা বিরতির পর দেখা হলো জায়েদের।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৩ সালের ৫ ডিসেম্বর জোবায়দা রব্বানী মিতার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মিশা সওদাগর। স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা থেকে স্ত্রীর মিতা নামের প্রথম শব্দ ‘মি’ ও নিজের শাহিদ হাসানের নামের প্রথম শব্দ ‘শা’ নিয়ে সিনেমায় নাম রাখেন মিশা। আর দাদার নামের সওদাগর উপাধি থেকে নিজের পুরো নামকরণ করেন মিশা সওদাগর।
Advertisement
বর্তমানে সেই মিশা সওদাগর শুটিং নিয়েই ব্যস্ত। শেষ করেছেন ‘বরবাদ’ সিনেমার শুটিং। শিগগিরই শুরু করবেন ‘তছনছ’সহ আরও কিছু সিনেমার কাজ।
এমআই/এলআইএ/এমএস