জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার সাবেক পুলিশ প্রধান (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।
Advertisement
রোববার (১৬ মার্চ) সকাল ১০ টার পর তাকে পুলিশের প্রিজনভ্যানে করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে। আদালতে আজ সাবেক পুলিশ প্রধান (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের অভিযোগের বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
এর আগে, জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার সাবেক পুলিশ প্রধান (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পরে তাকে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তদন্ত সংস্থার সেফ হোমে নিয়ে উভয়পক্ষের আইনজীবী ও চিকিৎসকের উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি শুনানির নির্ধারিত দিনে আসামির বিরুদ্ধে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল ও তদন্তে সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
Advertisement
আদালতে ওইদিন রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এ সময় প্রসিকিউটর মো. মিজানুর রহমান, গাজী এম এইচ তামিম, বি এম সুলতান মাহমুদসহ অন্যান্য প্রসিকিউটর উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে আদালতে আসামিরপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নাজনিন নাহার।
শুনানি ও আদেশ শেষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ট্রাইব্যুনালে কার্যতালিকায় প্রথমে ছিল পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে শুনানি। সাবেক পুলিশ প্রধান (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ২৩ জন আসামিকে হাজির করার আদেশ ছিল। সেই মামলায় গ্রেফতার ৮ জনকে হাজির করা হয়েছিল ট্রাইব্যুনালে।
তাজুল ইসলাম বলেন, এপিসি, হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়েছিল, মারণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। এ বিষয়ে তিনি আগে একটি জবানবন্দি দিয়েছেন। সেসব তথ্যের মধ্যে আমাদের আরও অনেক বিষয় তার কাছ থেকে জানা প্রয়োজন। হেলিকপ্টার অপারেশন কার নির্দেশনায় হয়েছিল, কারা ছিল সেখানে, কতটি ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে, কী ধরনের অস্ত্র পরিবহন করা হয়েছিল, পুলিশের প্রধান হিসেবে তার এ বিষয়গুলো জানার কথা। সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আমরা একদিনের সময় আবেদন করেছি। পরে ২৩ ফেব্রুয়ারি একদিনের জন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
তিনি আরও বলেন, একই মামলায় দুই মাস সময় দিয়েছেন আদালত। আগামী ২৮ এপ্রিল পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। তদন্ত কার্য পরিচালনা করে রিপোর্ট দাখিলের কথা বলেছেন ট্রাইব্যুনাল।
Advertisement
এফএইচ/এএমএ/এমএস