দেশজুড়ে

গোপালগঞ্জে বিক্রেতাদের হাঁকডাকে মুখর ইফতার বাজার

জমে উঠেছে গোপালগঞ্জের ইফতার বাজার। বিকেল থেকে শহরে বিভিন্ন-সড়কসহ রেস্তোরাঁয় বাহারি ইফতার নিয়ে বসেন দোকানিরা। বিক্রেতাদের হাঁক-ডাকে মুখর হয়ে ওঠে ইফতার বাজার।

Advertisement

শহরের পোস্ট অফিস মোড়, কোর্ট এলাকা, চৌরঙ্গী, কাঁচা বাজার, পুলিশ লাইন, লঞ্চঘাট, পাচুঁরিয়া, মেডিকেল কলেজ মোড় ঘুরে দেখা যায়, দুপুর থেকে তৈরি হচ্ছে ভিন্ন স্বাদের সব ইফতার আইটেম। মৌসুমি ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন রেস্তোরাঁ, মিষ্টি ও খাদ্যদ্রব্যের দোকানের সামনে কাপড় টানিয়ে বসেছে বাহারি এসব ইফতার। বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ ইফতার সামগ্রী কিনতে দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছে।

এসব দোকানে সুতি কাবাব, জালি কাবাব, মুঠি জালি কাবাব, টিকা কাবাব, নার্গিস চাপ, শাহী জিলাপি, বোম্বে জিলাপি, ডিম চপ, দই বড়া, হালিম, নূরানি লাচ্ছি, পনির, পেস্তা বাদাম শরবত, পরোটা, ছোলা, পেঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, ফালুদা ও আনারসসহ রকমারি সব ইফতার আইটেম থাকে।

অভিজাত রেস্তোরাঁ ও ফুটপাতের দোকানগুলোতে ইফতার বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন দামে। এর মধ্যে ছোলা ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি, জিলাপি ১৬০ থেকে ১২০ টাকা কেজি, বুন্দিরা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি, পেঁয়াজু ১৮০ থেকে ২০০, জালি কাবাব বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা পিস, ঘোল ১০০ টাকা কেজি, খেজুর প্রকার ভেদে ২৫০ টাকা থেকে ১৭০০ টাকা কেজি, কলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা হালি, মুড়ি দেশি ৯০ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়াও চপ, বেগুনি, পেঁয়াজু প্রতিটি পিস বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ১০ টাকায়।

Advertisement

পুলিশ লাইন এলাকার ইফতার বিক্রেতা জসিম উদ্দিন বলেন, কয়েক বছর ধরে এ এলাকায় তিনি ইফতার বিক্রি করছেন।

বিকেল থেকে ক্রেতারা ইফতার কিনতে দোকানে ভিড় জমান। বেচাকেনা বেশ ভালো হচ্ছে। বেশি বিক্রি হচ্ছে, ছোলা, পিঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ ও হালিম।

কোর্ট এলাকায় ইফতার কিনতে আসা আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে এখান থেকে ইফতার নিয়ে যান। বাসায় ইফতার আইটেম তৈরি করলেও বাড়ির বাচ্চারা এসব ইফতার বেশ পছন্দ করে। তাই বাসায় ফেরার পথে এগুলো নিয়ে যাই।

পোস্ট অফিস মোড়ে ইফতার কিনতে আসা ইকরাম হোসেনের কাছে এসব ইফতার কতটা স্বাস্থ্যসম্মত জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিক্রেতারা সবাই হ্যান্ড গ্লোভস পড়ে যথেষ্ট হাইজিন মেইনটেইন করে ইফতার বিক্রি করছেন। আমি মনে করি এসব ইফতার স্বাস্থ্যসম্মত। তাই নিশ্চিন্তে এগুলো কিনছি।

Advertisement

আরএইচ/জেআইএম