খেলাধুলা

আফ্রিদির মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা সাবেক পিসিবি চেয়ারম্যানের

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে স্বাগতিক দেশ হয়েও শুরুর দিকেই বিদায় নিতে হয় পাকিস্তানকে। প্রথম দুই ম্যাচ হেরেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায় তারা। দলের এমন করুণ অবস্থা নিয়ে সম্প্রতি মন্তব্য করেন দেশটির সাবেক ক্রিকেটার শহিদ আফ্রিদি। তিনি বলেছিলেন, পাকিস্তান ক্রিকেট বর্তমানে আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র)।

Advertisement

শহিদ আফ্রিদির এমন মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছেন সাবেক আইসিসি ও পিসিবি চেয়ারম্যান এহসান মানি। তিনি অভিযোগ করেন, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ও পাকিস্তান ক্রিকেট সংক্রান্ত বিষয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে কথা বলেন সাবেক ক্রিকেটার, বিশেষ করে সাবেক ক্রিকেটাররা।

আফ্রিদি দাবি করেন, বর্তমান পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি স্বীকার করেছেন যে তিনি ক্রিকেট সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান রাখেন না।

আফ্রিদি বলেন, ‘যখন কোনো টুর্নামেন্ট আসে, আমরা সবসময় প্রস্তুতির কথা বলি। এরপর যখন ব্যর্থ হই, তখন আবার বড় পরিবর্তনের কথা বলি। বাস্তবতা হলো, ভুল সিদ্ধান্তের কারণে পাকিস্তান ক্রিকেট এখন আইসিইউতে রয়েছে।’

Advertisement

আফ্রিদির সমালোচনা উড়িয়ে দিয়ে মানি বলেন, ‘আমি শহীদ আফ্রিদি বা অন্য কেউ যা বলেন, তাতে কোনো বিশ্বাস রাখি না। তাদের ব্যক্তিগত এজেন্ডা আছে বা অন্য কিছু। তাই আমি এসব নিয়ে মাথা ঘামাতে চাই না। এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবো না। শুধু এটুকু বলবো যে, নেতৃত্ব পিসিবির চেয়ারম্যান ও পরিচালনা পর্ষদ থেকেই আসা উচিত। বাকি বিষয়গুলো নিয়ে আমি বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি না।’

পাকিস্তান ‘হাইব্রিড মডেলে'র অধীনে ২০২৫ সালের আইসিসি পুরুষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজন করে। ফলে ভারত তাদের ম্যাচগুলো দুবাইয়ে খেলার সুযোগ পায়।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হওয়ার মাত্র দুই মাস আগে সূচি প্রকাশ করা হয়, যা নিয়ে এহসান মানি আইসিসির ব্যবস্থাপনা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

মানি বলেন, ‘এটি খুবই হতাশাজনক, যেভাবে এই ইভেন্টটি পরিচালিত হয়েছে। এর সম্পূর্ণ দায়ভার আইসিসির। যখন তারা ভারত ও পাকিস্তানের মতো দেশগুলোর মধ্যে ইভেন্ট বরাদ্দ করেছিল, তখন তারা জানত যে বর্তমান রাজনৈতিক সম্পর্কের কারণে সমস্যাগুলো হতে পারে। তাই আইসিসিরই দায়িত্ব ছিল টুর্নামেন্ট শুরুর বহু আগেই এই বিষয়গুলো সমাধান করা।’

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ‘তারা এটি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ফেলে রেখেছিল। এটি পুরোপুরি ভুল সিদ্ধান্ত যে, আইসিসি আগেভাগেই এই সমস্যাগুলোর সমাধান করেনি। তাদের উচিত ছিল পিসিবি ও বিসিসিআইকে একসঙ্গে বসিয়ে একটি আইসিসি-ভিত্তিক সমাধান বের করা। কোনো নির্দিষ্ট বোর্ডের স্বার্থে সমাধান হওয়া উচিত নয়।’

এমএইচ/জেআইএম