অর্থনীতি

জমজমাট বেইলি রোডের ঈদের কেনাকাটা

রোজার প্রথম দশক শেষেই কেনাকাটায় ঈদের আমেজে শুরু হয়েছে। রাজধানীর ছোট-বড় শপিংমল, বিপণিবিতানগুলো সেজেছে বর্ণিল সাজে। রাজধানীবাসীও পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের কেনাকাটা শুরু করেছেন।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর বেইলি রোডের ছোট-বড় শপিং সেন্টার ও নামীদামি ব্র‍্যান্ডের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। পরিবারের সদস্যদের জন্য পছন্দমতো জামা, জুতা, আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র কেনা শুরু হয়ে গেছে।

এদিন সন্ধ্যার পর সরেজমিনে বেইলি রোডের সিরাজ ক্যাপিটাল সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি দোকানে জাকজমকপূর্ণ সাজসজ্জা। ইফতারির পরপর বাড়তে থাকে ক্রেতাদের আনাগোনা। সাধ ও সাধ্যের মধ্যে পছন্দমতো কেনাকাটা করছেন ক্রেতারা।

এই মার্কেটে সব বয়সী মানুষের জন্য রয়েছে বাহারি রকমের পোশাক। বিশেষ করে মেয়েদের জন্য রয়েছে পাকিস্তানি ও ভারতীয় থ্রি-পিসের সমাহার। দোকানগুলোতে হালকা সবুজ, আকাশি, ঘিয়ে, ধূসর, হালকা গোলাপি রঙের স্টিচ ও ননস্টিচ থ্রি-পিস রয়েছে। সেই সঙ্গে দেশি তাঁতে বোনা শাড়ি, জামদানি প্রিন্টের হাফ সিল্ক শাড়ি, সুতির শাড়ি রয়েছে। রয়েছে তরুণদের প্যান্ট, শার্ট ও পাঞ্জাবি।

Advertisement

সিরাজ ক্যাপিটাল সেন্টারে অনিকা কালেকশন দোকানের স্বত্বাধিকারী মাজেদ আলম জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের এখানে থ্রি-পিস সর্বনিম্ন ২ হাজার ২০০ থেকে ৭ হাজার ৫০০ টাকার পর্যন্ত রয়েছে। পাকিস্তানি ও ইন্ডিয়ান দুই ধরনেরই রয়েছে। ওয়ান পিস পাওয়া যাচ্ছে ১ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকায়।

আরও পড়ুন

বাড্ডার মার্কেটগুলোতে জমেনি ঈদের কেনাকাটা ঈদের সম্ভাব্য তারিখ প্রকাশ, রোজা ২৯ নাকি ৩০টি?

লেডি দোকানের ম্যানেজার শাহরিয়ার বলেন, এ বছর ভারত থেকে খুব বেশি মাল আসেনি। তাই পাকিস্তানি ড্রেসের দাম একটু বেশি। আবার পাকিস্তানি অনেক ড্রেস দুবাই-দিল্লি হয়ে আসে। তাই দাম কিছুটা বেশি হচ্ছে। ১০ রোজার পর থেকে ক্রেতা বেড়েছে। তবে শুক্রবার থেকে বেচাকেনা আরও জমবে।

মার্কেটের দোকানিরা বলছেন, তরুণীরা কেনাকাটা শুরু করেছেন। তবে ছেলেরা এখনো খুব বেশি কেনাকাটা করছেন না। অনেকে দেখে দেখে চলে যাচ্ছেন। বেশিরভাগ পরিবার বাচ্চাদের ড্রেস কিনে দিচ্ছেন আগে। অনেকে ২০ রমজানের পর নেওয়ার কথা ভাবছেন। তবে ১০ রমজান থেকে ভালো বেচাকেনা হচ্ছে।

Advertisement

রাজধানীর শান্তি নগরের বাসিন্দা রবিউল আলম জাগো নিউজকে বলেন, বেইলি রোডে দাম একটু বেশি হলেও এখানেই কেনাকাটা করছি। এখানে মোটামুটি সব ব্র‍্যান্ডের পণ্য রয়েছে। জ্যামের কােণে অন্য কোথাও যাওয়া হয় না। শেষ মুহূর্তে ভিড়ের কারণে বাচ্চাদের নিয়ে আসা যায় না। তাই বাচ্চাদের আগে কিনে দিয়েছি। আমি আর আমার ওয়াইফ পরে কিনবো। আর আমাদের পাঞ্জাবির এখনো ভালো কালেকশন দেখিনি।

লিটল বেবি দোকানের ম্যানেজার রবিন বলেন, এবার বাচ্চাদের বাহারি ডিজাইনের পণ্য রয়েছে। মার্কেটের প্রতিটি ফ্লোরে কিডস শপ রয়েছে। ৬ থেকে ১০ বছর বয়সী মেয়েদের জন্য হীরামান্ডি, আফগান নামে ড্রেস রয়েছে। হীরামন্ডি পাওয়া যাচ্ছে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকার মধ্যে। আফগানি ড্রেস পাওয়া যাচ্ছে ৪ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকার মধ্যে । তবে মানুষ আজও দেখে চলে যাচ্ছেন। শুক্রবার থেকে বেচাকেনা হয়তো আরও বাড়বে।

বেইলি রোডের টাঙ্গাইল তাঁত ঘরসহ বিভিন্ন দোকানে ১ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার হাজার টাকার মধ্যে হাফ সিল্ক, তাঁতের শাড়ি, সিল্ক ও জর্জেটের শাড়ি পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও এমব্রয়ডারি, কাটওয়ার্ক, পুঁতি ও জরির কাজ করা শাড়ি বিক্রি হচ্ছে দেড় হাজার থেকে ১২ হাজার টাকায়।

আরএএস/ইএ