চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ চেষ্টার পরও বাঁচানো গেলো না ধর্ষণের শিকার শিশু আছিয়া খাতুনকে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুর ১টায় রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে। এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) মাগুরা শহরে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় শিশুটি।
Advertisement
শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে তার এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মৃত্যুর খবর নিজ গ্রামে পৌঁছালে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। ওই বাড়িতে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। এসময় কান্না ধরে রাখতে পারেননি তারাও। তারা সবাই ধর্ষকের ফাঁসির দাবি জানান।
স্থানীয় বাসিন্দা হামিদুর রহমান বলেন, ‘আজ আছিয়া আমাদের মাঝ থেকে চলে গেলো। তাকে আমরা বাঁচাতে পারলাম না। আমরা ধর্ষকের ফাঁসি চাই।’
প্রতিবেশী কৃষ্ণ বালা বলেন, ‘আছিয়ার মৃত্যুর খবরে আমি খুবই ব্যথিত হয়েছি। আমি নিজেও দুই সন্তানের মা। শিশু আছিয়ার পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা নেই।’
Advertisement
আছিয়াদের বাড়ির একপাশে বসে ফুঁপিয়ে কাঁদতে দেখা গেলো ফুপাতো ভাই রাসেলকে। সে শিশু আছিয়ার সমবয়সী। রাসেল বলে, ‘আমাদের আছিয়া আর নেই। আমি এখন কার সঙ্গে খেলা করবো?’
আরও পড়ুন মাগুরার শিশুর মৃত্যু: আসামিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশআছিয়ার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তার মরদেহ রাতে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে মাগুরায় পৌঁছাবে। এশার নামাজের পর জানাজা শেষে আছিয়ার আদি নিবাস শ্রীপুরের সোনাইকুন্ডীতে দাফন করা হবে। মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্ত চলছে।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) মাগুরা শহরে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় ওই শিশুটি। পরদিন তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ওইদিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
এরপর শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সংকটাপন্ন শিশুটিকে গত শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (পিআইসিইউ) থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরদিন রোববার শিশুটিকে সিএমএইচে পেডিয়াট্রিক আইসিইউতে নেওয়া হয়। আজ ১৩ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়। এসআর/জিকেএস
Advertisement