পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কোস্টগার্ড সদস্যের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় পাঁচ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এতে আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত আরও পাঁচ-ছয়জনকে।
Advertisement
এদিকে মামলা করায় এর প্রতিবাদে বুধবার (১২ মার্চ) উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীর বিক্ষোভ মিছিল ও সভা করে। তারা এটিকে মিথ্যা মামলা দাবি করে এর প্রত্যাহার চেয়েছেন।
মামলাটি করেন কোস্টগার্ড আন্দারমানিক (পায়রা বন্দর) স্টেশনের পেটি অফিসার মো. নেসারুল ইসলাম। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) কলাপাড়া থানায় মামলা করা হয়। পুলিশ মামলার অন্যতম আসামি শওকত হোসেন সাকিব নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে।
বাকি আসামিরা হলেন- উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম সিকদার, তার বড় ভাই উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মামুন সিকদার, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান ওরফে কাজল তালুকদার, নীলগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল হোসেন।
Advertisement
মামলা সূত্রে জানা যায়, ৮ মার্চ পেশাগত দায়িত্ব পালনে সন্ধ্যা ৭টার সময় কলাপাড়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন চৌরাস্তায় অবস্থান করছিলেন কোস্টগার্ডের গোয়েন্দা সদস্য মো. মোস্তফা সাদিক। এসময় আসামিরা তার পরিচয় জানা সত্ত্বেও তার ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। তাকে মারধর করে জখম করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
মামলায় সরকারি কাজে বাধা, সরকারি সামরিক সদস্যকে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
তবে কলাপাড়া পৌর বিএনপি বলছে, উপজেলা ও পৌর বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন সিকদার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান চুন্নু, কলাপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি গাজী মো. ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক মুসা তাওহীদ নান্নু মুন্সি প্রমুখ।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল ইসলাম জানান, কোস্টগার্ড সদস্যের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনা নিয়ে তদন্ত করছি। যাদের নামে মামলা হয়েছে, তাদের দোষ পাওয়া গেলে অবশ্যই গ্রেফতার করা হবে।
Advertisement
আসাদুজ্জামান মিরাজ/জেডএইচ/এমএস