ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সকল প্রশাসনিক পদ থেকে স্বৈরাচারের দোসরদের অপসারণের দাবিতে উপাচার্য কার্যালয়ে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে প্রক্টর ও উপ-উপাচার্যকে কেন্দ্র করে এই হট্টগোল হয়।
Advertisement
এর আগে উপাচার্যের কার্যালয় থেকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সাংবাদিকদের বের করে দেন।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও শাখা ছাত্রদলের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা দোষীদের বিচারের জন্য উপাচার্যকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে কার্যালয় ত্যাগ করেন।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক পদ থেকে স্বৈরাচারের দোসরদের অপসারণের দাবিতে বেলা সাড়ে ১২টায় উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে বিএনপিপন্থি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হট্টগোল করেন।
Advertisement
পরে দুপুর পৌনে ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সদস্য সচিব মাসুদ রুমি মিথুন, সদস্য নুর উদ্দিন, রাফিজ আহমেদ, তৌহিদুল ইসলাম, আলিনুর রহমান, উল্লাস মাহমুদ ও সাবিক জোয়ার্দারসহ অন্যান্য কর্মীরা ভেতরে থাকা সাংবাদিকদের বের করে দেন।
একপর্যায়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে উপ-উপাচার্য ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এসময় কক্ষের মধ্যে উচ্চবাচ্য শুনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা করলেও ছাত্রদল কর্মীরা তাদেরকে বাধা দেয়। তাদেরকে উপেক্ষা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে ঢুকলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।
এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এয়াকুব আলী প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামানকে ‘জামায়াত’ বলে সম্বোধন করেন বলে অভিযোগ প্রক্টরের। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে কার্যালয় ত্যাগ করেন শিক্ষার্থীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, আজকের এই ঘটনা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। আমি দোষীদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ৪৮ ঘণ্টার সময় দিয়েছি। এরমধ্যে বিচার না করলে শিক্ষার্থীরা অন্য ব্যবস্থা নিতে নিতে বাধ্য হবে।
Advertisement
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, উপাচার্যের কার্যালয়ে এক জুনিয়র শিক্ষক আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে। উপাচার্য এর বিচার না করলে আমি বিষয়টি অন্যভাবে দেখবো।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, এমন ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। যেহেতু শিক্ষকদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে সেহেতু আমরা উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করে দেব। এ বিষয় নিয়ে কোনো তদন্ত কমিটির প্রয়োজন নেই।
এমএন/জেআইএম