যশোরে দায়িত্বরত এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্যকে ঘুসি মেরে নাক ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাওন ইসলাম সবুজ নামে এক ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শাওনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Advertisement
শনিবার (১ মার্চ) রাত ৮টার দিকে তাকে আটক করা হয়। শাওন যশোর সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোড এলাকার মো. শাহিনের ছেলে। ভুক্তভোগী ট্রাফিক পুলিশ সদস্যের নাম কে এম শরিফুল ইসলাম।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শনিবার সন্ধ্যার দিকে ট্রাফিক পুলিশ সদস্য কে এম শরিফুল ইসলাম (কনস্টেবল নম্বর ১৭১১) শহরের জেল রোডে ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে ডিউটি করছিলেন। সেখানে রাস্তার ওপর মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন শাওন ইসলাম। রাস্তায় যানজট তৈরি হলে তাকে মোটরসাইকেলটি সরিয়ে নিতে বলেন শরিফুল। এসময় শাওন তার সঙ্গে তর্কে জড়ান।
এক পর্যায়ে শাওন ঘুসি মেরে ট্রাফিক সদস্য শরিফুলের নাক ফাটিয়ে দেন। পরে পথচারীরা জড়ো হয় ওই কনস্টেবলকে উদ্ধার করে। খবর পেয়ে ট্রাফিক পুলিশ অফিস থেকে কয়েকজন সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে শাওনকে গ্রেফতার করেন। তাকে কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
Advertisement
ভুক্তভোগী ট্রাফিক সদস্য শরিফুল ইসলাম বলেন, বিকেলে হাসপাতাল মোড়ে দায়িত্ব পালন করছিলাম। এসময় শাওন নামে যুবক ও তার সহযোগী আরেকজনকে নিয়ে সড়কের বাম পাশে মোটরসাইকেলটি রাখে। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়। তখন শাওন নামের ওই যুবককে গাড়িটি সরাতে বললে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে বলে, ‘তোর টিআই (ট্রাফিক ইন্সপেক্টর) আমাকে গাড়ি সরাইতে বলতে পারে না, আর তুই গাড়ি সরাইতে বলিস। তোর এত সাহস হয় কীভাবে?’ এরপর পুনরায় তাকে গাড়ি সরাতে বললে ক্ষিপ্ত হয়ে সে আমাকে মারধর করতে থাকে। পরে পথচারী ও অন্য সহকর্মীরা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী বাবুল হোসেন জানান, পুলিশ সদস্যকে আহত করায় শাওন নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা ও মারপিটের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজেদুর রহমান সাগর বলেন, সিটি কলেজ ছাত্রদলের সেক্রেটারি শাওন ইসলাম সবুজের সঙ্গে ট্রাফিক পুলিশের বাগবিতণ্ডা হয়েছে শুনেছি। নাক ফাটানোর বিষয়টি জানি না। এ ঘটনায় আমরা বিব্রত। ব্যক্তির দায় তো সংগঠন নেবে না। তবে সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজ করে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
মিলন রহমান/এমকেআর
Advertisement