খেলাধুলা

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো করার রসদ টাইগারদের

ভারতের কাছে পাকিস্তান হেরে গেছে। এর আগে প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছেও হেরেছে মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল। শতভাগ নিশ্চিত না হলেও গ্রুপ পর্ব থেকে এখন বিদায়ের একেবারে দ্বারপ্রান্তে পাকিস্তান। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে স্বাগতিকদের টানা দুই হারে সেমিতে খেলার একটা প্রচ্ছন্ন সুযোগ তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের। সেমিতে যেতে হলে বাংলাদেশের করণীয় কাজ একটাই; নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ দুই ম্যাচ জিততেই হবে টাইগারদের। আজ সোমবার নিউজিল্যান্ড আর ২৭ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানকে হারাতে হবে নাজমুল হোসেন শান্তর দলের।

Advertisement

অবশ্য এই দুই জয়েই সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিতভাবে হাতে পাবে না বাংলাদেশ। তাকিয়ে থাকতে হবে ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচের দিকেও। ভারত যদি নিউজিল্যান্ডকে শেষ ম্যাচে হারায় আর বাংলাদেশ যদি দুটিতেই জেতে, তাহলে গ্রুপের রানার্সআপ হয়ে শেষ চারে পৌঁছে যাবে শান্তবাহিনী। অর্থাৎ সেমিতে খেলার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখতে হলে সবার আগে সোমবার রাওয়ালপিন্ডিতে জিততেই হবে বাংলাদেশকে। ভালো পারফর্ম করতে হবে নাজমুল হোসেন শান্ত, সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম, তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, জাকের আলী ও তাসকিনদের। করাচিতে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ ১৫ ওভারের ব্যাটিং জাদুতে বড় ব্যবধানে জিতেছে নিউজিল্যান্ড। তিন ব্যাটার উইল ইয়ং (১১৩ বলে ১০৭), মিডলঅর্ডারে টম লাথাম (১০৪ বলে ১১৮) আর শেষ দিকে গ্লেন ফিলিপসের (৩৯ বলে ৬১) ঝোড়ো উইলোবাজিতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে শাহিন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ ও নাসিম শাহর গড়া পাকিস্তানের পেস বোলিং। শেষ ১০ ওভারে ১১৩ রানের সুবাদে ৩২০ রানের বড় পুুঁজি গড়ে পাকিস্তানকে ৬০ রানে হারায় নিউজিল্যান্ড।

পাকিস্তানের বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচেই নিউজিল্যান্ডের শক্তির জায়গা ফুটে উঠেছে। ওপেনার উইল ইয়ং দেখেশুনে ইনিংসটা সাজিয়ে দিতে পারেন। রানের চাকা সচল রাখার কাজটিও ভালো জানা। মিডলঅর্ডার ব্যাটার টম লাথামও হাত খুলে খেলে স্কোরবোর্ড সচল করতে জানেন। শেষ দিকে ফিলিপসের আছে ঝড়ের বেগে প্রতিপক্ষের বোলিং দুমড়ে মুচড়ে দেওয়ার সামর্থ্য।

নিউজিল্যান্ডের বোলিংয়ের ধারও কম নয়। দুই ফাস্টবোলার মিচেল ব্রেসওয়েল ও উইল ও'রর্কের সঙ্গে অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনারের স্পিন, সব মিলে প্রতিপক্ষকে আটকে দেওয়ার পর্যাপ্ত ক্ষমতা আছে কিউইদের। তাদের বিপক্ষে লড়াইয়ে টিকে থাকা সহজ হবে না টাইগারদের। তবে সোমবারের ম্যাচে শান্তর দলের দুটি ইতিবাচক পয়েন্ট আছে। প্রথমত, খেলা হবে রাওয়ালপিন্ডির মাঠে, যেখানে কয়েক মাস আগে টেস্টে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। সেটা একটা বড় অনুপ্রেরণা। চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে দুই তরুণ হৃদয় ও জাকেরের সাহসী ও দায়িত্ব-সচেতন ব্যাটিংও আশার আলো।

Advertisement

ভারতের বিপক্ষে ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠিত সব ব্যাটার চরম ব্যর্থ হওয়ার পরও জুটি গড়েন হৃদয় ও জাকের। তাদের জুটিতে ৩৫ রানে ইনিংসের অর্ধেকটা খোয়ানোর পরও ২২৮ রানে গিয়ে ঠেকে বাংলাদেশের স্কোর। ব্যর্থ হওয়া ৫ ব্যাটারের অন্তত এক বা দুজন জ্বলে উঠলেও বাংলাদেশের স্কোর তিনশোর আশপাশে যেতো।

রাওয়ালপিন্ডিতে টেস্টে পাকিস্তানকে ‘বাংলা ওয়াশ’ করেছি, এই মাঠ আমাদের পয়মন্ত ভেন্যু, সেই আত্মবিশ্বাস আর ভারতের বিপক্ষে জুটির ওপর ভরসা রাখলে বাকিদের ব্যাটও জ্বলে উঠবে নিশ্চয়ই। সেক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে স্কোরলাইন হবে আরও বড়। কাজেই আজ বাংলাদেশের ভালো করার সম্ভাবনা আছে। এখন জায়গামতো ব্যাটিংটা ভালো হলেই হয়।

এআরবি/এমএইচ/এএসএম

Advertisement