ময়মনসিংহে লালগালিচায় ব্যতিক্রমী ‘ক্যাট শো’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) নগরীর শিল্পাচার্য জয়নুল উদ্যানের বৈশাখী মঞ্চে এ শোয়ের আয়োজন করে প্রফেসরস পেট কেয়ার নামের একটি সংগঠন।
Advertisement
এতে যেমন খুশি তেমন সাজ, প্রদর্শনী ও র্যাম্প শোতে অংশ নেয় ১৩০টি বিড়াল।
আয়োজকরা জানান, দেশি-বিদেশি নানা প্রজাতির বিড়াল নিয়ে এসেছেন বিড়ালপ্রেমীরা।কোকো, মিমি, মুলু, প্রিটি, ব্রাউনি, সিম্বি, জ্যাকসো, জোজো, পরী, মারলি, মিঠি, ইমু, লিও, জলিসহ নানা নামের বিড়াল আয়োজনে অংশ নেয়। এদের মধ্যে ছিল অর্ধশতাধিক বিদেশি জাতের বিড়াল।
নগরীর কালিঝুলি এলাকার গৃহবধূ ফারজানা শোতে মিমি নামের একটি বিড়াল নিয়ে আসেন। দেখতে অনেক কিউট বিড়ালটি। ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা শেষে মোবাইলে গেম না খেলে বিড়াল নিয়ে খেলাধুলা করে।
Advertisement
তার মেয়ে রাইসা তাবাসসুম জানায়, দুই বছর ধরে মিমিকে (বিড়াল) লালনপালন করা হচ্ছে। পড়াশোনা করার সময়ও মিমি তার টেবিলের পাশে বসে থাকে। কোনো বিরক্ত করে না। দারুণ সময় কাটে বিড়ালের সঙ্গে। নগরীর ব্রাহ্মপল্লী থেকে আসেন মাহমুদা মলি। তিনি বলেন, আমাদের দুটি বিড়াল রয়েছে। একটার নাম রেখেছি মিঠি ও আরেকটার নাম রেখেছি জলি। নাম ধরে ডাক দিলে দৌড়ে চলে আসে। এতে খুব ভালো লাগে। ছেলেমেয়েও এদের নিয়ে আনন্দ করে। বিড়ালকে রোগমুক্ত রাখতে নিয়মিত চেকআপ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান।
তিনি বলেন, মানুষ ও প্রাণীর ভালোবাসা অত্যন্ত পবিত্র। আমাদের সন্তানরা মোবাইলে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। এতে একসময় শিশুরা মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়বে। বাচ্চাদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য পোষা প্রাণীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, নিয়মিত বিড়াল ও অন্যান্য পোষা প্রাণীর যত্ন নিতে হবে। পোষা বিড়ালকে বাইরের বিড়ালের সঙ্গে মিশতে দেওয়া ও নোংরা বা অপরিষ্কার হাতে স্পর্শ করা যাবে না, তাহলে বিড়াল রোগাক্রান্ত হবার হাত থেকে অনেকাংশেই রক্ষা পাওয়া যাবে।
Advertisement
অনুষ্ঠানে বাকৃবির মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ও নিরাপত্তা কাউন্সিলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো আরিফুল ইসলাম, ময়মনসিংহের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. আনোয়ার আজিজ (টুটুল) ও ময়মনসিংহের সহকারী পুলিশ সুপার তাহমিনা আক্তার বক্তব্য রাখেন।
কামরুজ্জামান মিন্টু/আরএইচ/এমএস