রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার এক নম্বর রোডের চারতলার একটি বাসায় সানতানা ইসলাম (২৮) নামের এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
Advertisement
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ভাই মো. তানভীর জানান, আমার ভাই বাসায় থাকতো। কিছুই করতো না, বেকার ছিল। আজ দুপুরের দিকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বাসায় ঝগড়া হয়। এই বিষয় নিয়ে অভিমান করে তার নিজের রুমে চলে যায় সে। কিছুক্ষণ পরে ডাকাডাকি করলে দরজা না খোলায় ভিতরে গিয়ে দেখি রশি দিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে। পরে অচেতন অবস্থায় আমরা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে উত্তরার বাংলাদেশ মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। ওখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি।
নিহতের স্ত্রী ফারিয়া ফাইজা আমিন জানান, আমি একটি বেসরকারি বিমান কোম্পানির কেবিন ক্রু হিসেবে চাকরি করি। পাশাপাশি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ নিয়ে পড়ছি। গত বছরের মার্চ মাসে ভালোবেসে আমরা দুজন বিয়ে করি। গত কয়েকদিন যাবত সে আমাকে সন্দেহ করে ও তার সঙ্গে এই বিষয়গুলো নিয়ে প্রায়ই মনোমালিন্যলতা হতো।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, আজ আমি তাকে অভিমান করে ফোন দিয়ে বলি তুমি যেহেতু আমাকে সন্দেহ করো, আমাকে ডিভোর্স দিয়ে দাও। এরপর থেকে আমার ফোন আর ধরে না। পরে বিষয়টি তার ভাইদের জানাই ও আমি নিজেও বাসায় ঢুকে দেখি ফ্যানের সঙ্গে গলায় রশি পেঁচিয়ে ঝুলে আছে।
নিহত সানতানা ইসলাম মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার কারপাশা গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের সন্তান। বর্তমানে তিনি উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টর ১-নম্বর রোডের ৫ পাঁচ নম্বর বাসার চারতলায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।
কাজী আল-আমিন/এএমএ/এমএস
Advertisement