বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্বের শেষটা ভালো ছিল না আবাহনীর। নবম রাউন্ডে ব্রাদার্সের বিপক্ষে ড্র করেছিল আকাশি-নীলরা। দ্বিতীয় পর্বের শুরুতেই কি পয়েন্ট হারাবে সর্বাধিক ৬ বারের চ্যাম্পিয়নরা? সমর্থকদের মধ্যে এমন শঙ্কা তৈরি হয়েছিল যখন ম্যাচের ১৪ মিনিটে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়েছিল ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবের বিপক্ষে।
Advertisement
নবাগত দল ইয়ংমেন্স, টেবিলে আছে অষ্টম স্থানে। এমন দলের কাছ থেকে চোখ রাঙানি বড় হওয়ারও কারণ ছিল। ইয়ংমেন্স যে প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচে মোহামেডানকে প্রথম হারের স্বাদ দিয়েছিল।
এগিয়ে গেলেও আবাহনীর বিপক্ষে সুবিধা করতে পারেনি ইয়ংমেন্স। আবাহনীর জালে বল পাঠিয়ে তারা যেন মৌচাকে ঠিলই মেরেছিল। তাই তো মারফুল হকের দল আর দাঁড়াতে দেয়নি ইয়ংমেন্সকে। গুনেগুনে ৬ গোল দিয়ে মাঠ ছেড়েছে আবাহনী।
এই মৌসুমে আবাহনীর এটাই সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়। প্রথম পর্বে আবাহনীর কাছে ইয়ংমেন্স হেরেছিল ২-০ গোলে। ১০ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে আবাহনী আছে টেবিলের দুইয়ে। আগের ৯ পয়েন্ট নিয়ে আটে ইয়ংমেন্স।
Advertisement
কুমিল্লার ভাষাশহীদ ধীরেন্দ্রনাথ স্টেডিয়ামে ম্যাচের ১৪ মিনিটে শিবলাল টুডুর পাস থেকে ইয়ংমেন্সকে এগিয়ে দেন সাঈদ হোসেন সায়েম। যা ছিল চলতি লিগে এই ফরোয়ার্ডের দ্বিতীয় গোল। এর আগে প্রথম লেগে চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে প্রথম গোল করেছিলেন তিনি।
গোল হজমের পর তেড়েফুঁড়েই আক্রমণ শুরু করে আবাহনী। ২৫ মিনিট পরই এনামুল ইসলাম গাজীর বানিয়ে দেওয়া বলকে দারুণ প্রচেষ্টায় গোলে রূপ দেন অধিনায়ক মোহাম্মদ হৃদয়। সমতা নিয়ে বিরতিতে যাওয়া আবাহনীকে দ্রুতই লিড এন দেন এনামুল গাজী।
৫৪ মিনিটে পর পর এনামুল ৬১ মিনিটে আবাহনীকে তৃতীয় গোলটি এনে দেন। ৭৮ মিনিটে মোহাম্মদ ইব্রাহিম, ৮৪ মিনিটে জাফর ইকবাল আর যোগ করা সময় মিরাজুল ইসলামের গোলে ৬-১ ব্যবধানের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আবাহনী।
আরআই/এমএমআর/এমএস
Advertisement