দেশজুড়ে

৫ আগস্টের আগের তত্ত্বে বিচার করলে হবে না: অ্যাটর্নি জেনারেল

অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বিচারকদের উদ্দেশে বলেছেন, শহীদ মুগ্ধর লাশ বহনকারী জানিয়েছেন, মুগ্ধ মারা যাওয়ার পর কোনো হাসপাতাল তার লাশ নিতে চায়নি। পোস্টমর্টেম করা সম্ভব হয়নি। লাশ এন্ট্রি করতে রাজি হয়নি প্রশাসন। মিডিয়া ঘটনাগুলো তুলে এনেছে। এখন আপনি ন্যায়বিচার করতে গিয়ে যদি বলেন, ওই আসামি হত্যা করেছে, সেটা তো পোস্টমর্টেম রিপোর্টে সাপোর্ট করছে না। তাহলে আমি কি করবো? আমি বিনয়ের সঙ্গে বলছি, আপনি নতুন পুলিশ রিপোর্ট তৈরি করুন। আইনের স্বাভাবিক ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে প্রগতিশীল হওয়ার চেষ্টা করুন। ৫ আগস্টের আগের তত্ত্বে বিচার করলে হবে না। আপনাদের সামনে হাতছানি দিচ্ছে ইতিহাসের যুগসন্ধিক্ষণ।

Advertisement

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে যশোর পিটিআই মিলনায়তনে এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

পুলিশের উদ্দেশে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আমরা গর্বের সঙ্গে বলি ৫ আগস্টের আগের পুলিশ বাহিনী আর পরের পুলিশ বাহিনী এক নয়। ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা হয়েছিল। শতভাগ গায়েবি মামলার বাদী ছিল পুলিশ। তবে ৫ আগস্টের পর পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলাও করেনি।

তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের আগে ৭০০ এর বেশি মানুষকে গুম করা হয়েছিল। বিনাবিচারে সাড়ে ৪ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ব্যবহার করে ৬০ লক্ষাধিক গায়েবি মামলা করা হয়েছিল। এসব ঘটনা মানবতাবিরোধী অপরাধের সব উপাদানে ভরপুর।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের নেতৃত্বে আগামীর বাংলাদেশ হবে সুশাসন ও ন্যায়বিচার ভিত্তিক। পুলিশকে তদন্তের সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যাতে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি শাস্তি না পায়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণির সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, এ রাষ্ট্র ট্রান্সফরমেশনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আগামীর বাংলাদেশে কোনো ব্যক্তির কাছে নয়, আপনারা আইন ও সংবিধানের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন। আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে কাদের পক্ষে দাঁড়াবেন।

কর্মশালায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার, সিআইডির অতিরিক্ত আইজি মতিউর রহমান শেখ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আতাউর রহমান খান বক্তব্য দেন।

মিলন রহমান/জেডএইচ/এমএস

Advertisement