মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দল-মত নির্বিশেষে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন সবাই।
Advertisement
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে শহীদ মিনারে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মানুষের ঢলও। সব মত-পথ যেন মিশে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে।
সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন থেকে শুরু করে ব্যক্তি পর্যায়ে সব স্তরের, সব বয়সের মানুষ শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন।
কেউ নিয়ে এসেছেন ফুলের ডালা। কেউ বা নিয়ে এসেছেন একগুচ্ছ ফুল। এছাড়া সাদা-কালো ব্যানারে লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ডে ছেয়ে গেছে পুরো শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ।
Advertisement
আরও পড়ুন
শহীদ দিবস: যান চলাচল বন্ধ থাকবে যেসব সড়কেসারাদেশে মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস পালনের আহ্বান জামায়াতেরএদিকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসা লোকজনের ভিড় বাড়ছেই। বেদি থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘলাইন রয়েছে।
শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে কথা হয় মিরপুরের বাসিন্দা ওমর ফারুকের সঙ্গে। ১০ মাস বয়সী শিশু মুনজেরিন ও তার স্ত্রীকে নিয়ে শহীদ মিনারে এসেছেন শ্রদ্ধা জানাতে। জাগো নিউজকে ওমর ফারুক বলেন, শহীদ মিনারে জীবনে বেশ কয়েকবার এসেছি। কিন্তু ২১ ফেব্রুয়ারিতে এই প্রথম। আজ ভিড় কম আছে। আমার বাচ্চাও আনন্দ করছে। আমি চাই তরুণ প্রজন্ম ২১ কে জানুক। ২১ কে ধারণ করুক।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২ টা ১মিনিটে শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
Advertisement
এরপর বিদেশি কূটনীতিক, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ভাষাসৈনিকরা পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। রাত ১২টা ৪০ মিনিটে সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, মাতৃভাষা আন্দোলনের ৭৩ বছর পূর্ণ হয়েছে আজ। ১৯৫২ সালের এইদিনে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর নির্মমভাবে গুলিবর্ষণ করে তৎকালীন পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠীর পুলিশ। এতে সালাম, বরকত, রফিক, শফিউর, জব্বারের বুকের রক্তে রঞ্জিত হয় ঢাকার রাজপথ। তাই এ দিনটিকে শহীদ দিবস বলা হয়ে থাকে। অন্যদিকে, জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিবছর ২১ ফেব্রুয়ারিকে সারাবিশ্বে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। তাই দিনটি বাঙালি জাতি ও বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য গৌরবের।
আরএএস/এএমএ/এমএস