দেশজুড়ে

সিলেটে দৃষ্টিনন্দন শতবর্ষী নানকার বাংলো পুড়ে ছাই

সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী লোভাছড়া চা-বাগানে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত শতবর্ষী দৃষ্টিনন্দন নানকার বাংলো পুড়ে গেছে।

Advertisement

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।

লোভাছড়া চা বাগানের স্বত্বাধিকারী যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত জেমস লিও ফার্গুসনের ভাগ্নে ইউসুফ ওসমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

জেমস লিও ফার্গুসন স্থানীয়দের কাছে নানকা নামেই পরিচিত। অগ্নিকান্ডে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউসুফ ওসমান।

Advertisement

স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত দৃষ্টিনন্দন ছনের ছাউনিযুক্ত বাংলোর চালা মেরামত কাজ করেন শ্রমিকরা। বিকেল ৫টার দিকে বিদ্যুতের লাইনের উপর একটি গাছের ডাল পড়ে আগুনের সূত্রপাত হয়। ডাল থেকে আগুন বাংলোর পাশে ছনের খড়ে ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখা পুরো বাংলোয় ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন ও লোভাছড়া চা-বাগানের শ্রমিকরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও বাংলোটি রক্ষা করতে পারেননি।

আগুনে বাংলোতে থাকা জেমস লিও ফার্গুসন নানকার পূর্ব পুরুষদের অনেক দুর্লভ ছবি, দামি দামি আসবাবপত্রসহ দুটি রান্নাঘর পুড়ে গেছে। তবে অগ্নিকান্ডের সময় বাংলোতে কেউ অবস্থান না করায় প্রাণহানির কোনো ঘটনা ঘটেনি।

অগ্নিকান্ডের খবরে কানাইঘাট ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে গেলেও যাতায়াতের রাস্তা দুর্গম হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে নেওয়া সম্ভব হয়নি।

নানকার ভাগ্নে ইউসুফ ওসমান জাগো নিউজকে বলেন, বিগত ৪০ দিন ধরে বাংলোটি মেরামতের কাজ চলছিল। আজ বিকেল ৩টার দিকে শ্রমিকরা কাজ শেষ করে। বিকেল ৫টার দিকে বিদ্যুতের লাইনের উপর একটি গাছের ডাল পড়ে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে সেখান থেকে বাংলোর খড়ের চালার উপর আগুন লেগে যায়। এরপর আর কোনোভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

Advertisement

তিনি বলেন, আগুনে নানকা পরিবারের দুর্লভ কিছু ছবিসহ সব পুড়ে গেছে। যা টাকা দিয়ে কেনা সম্ভব না।

প্রসঙ্গত, কানাইঘাট উপজেলার ব্রিটিশ আমলের প্রাচীনতম লোভাছড়া চা-বাগানের বাংলো কানাইঘাট তথা বৃহত্তর সিলেটের একটি ঐতিহ্য বহন করে আসছিল। সারাদেশের ভ্রমণ পিপাসুরা টিলা বেষ্টিত চা বাগান ও বাংলো ঘুরতে যান।

আহমেদ জামিল/এএইচ/এমএস