স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসা অপরিহার্য

ক্লিনিক্যাল অভিজ্ঞতা, রোগীর চাহিদা ও সর্বশেষ বৈজ্ঞানিক গবেষণার সমন্বয়ে সর্বোত্তম চিকিৎসা দেওয়াই প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসার মূল উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম।

Advertisement

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্লক অডিটোরিয়ামে ‘প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসাবিদ্যার মূলনীতি: গবেষণা ও বাস্তব প্রয়োগের সেতুবন্ধন’ শীর্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

অধ্যাপক শাহিনুল আলম বলেন, রোগী ও জনগণের স্বার্থে ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নতিতে প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসাবিদ্যার চর্চা অপরিহার্য। বৈজ্ঞানিক প্রমাণ ও চিকিৎসকের অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করে প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসায় অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণের জন্য প্রমাণিত গবেষণা, চিকিৎসা সংক্রান্ত অধ্যয়ন (ক্লিনিক্যাল স্টাডি) ও অভিজ্ঞতা একত্রিত করেই যথাযথ চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরি করা হয় বলে চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রেও প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসা অত্যন্ত জরুরি।

তিনি আরও বলেন, চিকিৎসকরা যদি গাইডলাইন অনুসরণ করে ব্যবস্থাপত্র লেখেন, রোগীর ওষুধ সরবরাহ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন, তাহলে চিকিৎসা ব্যয় কিছুটা কমবে এবং রোগীরাও যথাযথ চিকিৎসা পেয়ে আরোগ্যলাভ করবেন।

Advertisement

বিএসএমএমইউ ভিসি বলেন, চিকিৎসকদের অবশ্যই গাইডলাইন অনুসরণ করে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া উচিত। মানসম্পন্ন গাইডলাইন না থাকলে প্রয়োজনে নিজেদের উদ্যোগে গাইডলাইন তৈরি করে সে অনুযায়ী রোগীদেরকে চিকিৎসাসেবা দিতে হবে। প্রেসক্রিপশনে আনরেজিস্ট্রার্ড প্রোডাক্ট বা এ জাতীয় কিছু লেখা উচিত না।

আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান দ্রুত পরিবর্তনশীল উল্লেখ করে অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেন, চিকিৎসা পদ্ধতিকে আরও কার্যকর, নিরাপদ ও ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসা একটি অপরিহার্য পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আজকের সেমিনারের আলোচনা চিকিৎসকদের জন্য গবেষণালব্ধ জ্ঞান ও বাস্তব প্রয়োগের মধ্যে সঠিক সমন্বয় সাধনে অবদান রাখবে।

প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসাবিদ্যার চর্চা না করলে বহির্বিশ্বের তুলনায় বাংলাদেশ চিকিৎসাবিজ্ঞানের অগ্রগতি ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়বে বলেও মনে করেন বিএসএমএমইউ ভিসি।

এএএম/এসএনআর/জিকেএস

Advertisement